তলানিতে দেশের ক্রয়ক্ষমতা, কেন চাপা হচ্ছে রিপোর্ট? জারি বিদ্রোহ

কলকাতা: মোদী সরকার এক নিমেষে পরিসংখ্যান বদলে দিচ্ছে৷ রাতকে দিন, কালকে সাদা করে দিচ্ছে৷ এই অভিযোগ অনেক আগে থেকেই করে আসছে দেশের বামপন্থীরা৷ সম্প্রতি যেভাবে এনএসএসও এর কঞ্জুমার স্পেনডিং বা ভোগ ব্যায় সংক্রান্ত রিপোর্ট কে আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে, তা এক কথায় স্বৈরাচারীর লক্ষণ বলে মনে করছে বামপন্থীরা৷ এনএসএসও তাদের রিপোর্টে দেখিয়েছে, ২০১১-১২ এর তুলনায়

imagesmissing

তলানিতে দেশের ক্রয়ক্ষমতা, কেন চাপা হচ্ছে রিপোর্ট? জারি বিদ্রোহ

কলকাতা: মোদী সরকার এক নিমেষে পরিসংখ্যান বদলে দিচ্ছে৷ রাতকে দিন, কালকে সাদা করে দিচ্ছে৷ এই অভিযোগ অনেক আগে থেকেই করে আসছে দেশের বামপন্থীরা৷ সম্প্রতি যেভাবে এনএসএসও এর কঞ্জুমার স্পেনডিং বা ভোগ ব্যায় সংক্রান্ত রিপোর্ট কে আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে, তা এক কথায় স্বৈরাচারীর লক্ষণ বলে মনে করছে বামপন্থীরা৷

এনএসএসও তাদের রিপোর্টে দেখিয়েছে, ২০১১-১২ এর তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশের (ক্রয় ক্ষমতা) কঞ্জুমার স্পেনডিং ৩.৭ শতাংশ কমেছে৷ যে ভারত সারা পৃথিবীতে নিজের উৎকৃষ্ঠ বাজারের কথা বলে, সেখানে এই অবস্থা উৎকন্ঠার – মনে করেছে বামপন্থীরা৷

এনএসএসও সমীক্ষার রিপোর্টকে মোদী সরকার ভুল বলে গায়েব করে দিয়েছে৷ ঠিক সেই কারণেই পথে নামতে চাইছে বামপন্থীরা৷ যে রিপোর্ট বলছে ভোগব্যয় বা কঞ্জুমার স্পেনডিং কমছে, সেই রিপোর্টকে চেপে দিলেই মোদী-নির্মলা সীতারমনদের ভালো হবে তা গেরুয়া শিবির জানে৷ তার উপর ওই রিপোর্ট বলেছে, দেশের কর্মসংস্থান নেই৷ অতএব, পরিসংখ্যান বাতিলই মোদী সরকারের কাছে স্বাভাবিক পক্রিয়া মনে করছে বাম দলগুলি৷

বাম দলগুলি মনে করছে মোদী সরকার ‘আচ্ছে দিন’ দেখানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন৷ কিন্তু, এই ধরণের পরিসংখ্যান বেরিয়ে আসলে ‘আচ্ছে দিনে’র মুখোশ খুলে যাবে অচিরেই৷ সেই কারণেই পরিসংখ্যান চেপে দেওয়া হচ্ছে৷

সিপিআইএম সহ বাম দলগুলি মনে করছে, এই বাতিল পরিসংখ্যানের পিছনে অন্য কারণও রয়েছে৷ ওই পরিসংখ্যানটি ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের৷ ঠিক আগে, অর্থাৎ ২০১৬ সালের নভেম্বরে নোট বাতিল এবং ২০১৭ সালের জিএসটি ভারতীয় ভারতীয় অর্থনীতিকে নিম্নমুখী করেছে৷ মোদী সরকার সেই কারণেই এনএসএসও – এর রিপোর্টকে চেপে নিজের মত সংখ্যাতত্ত্ব খাড়া করতে চাইছে৷

বাম দলগুলির মতে শহরাঞ্চলে কঞ্জুমার স্পেনডিং ২ শতাংশ কমেছে তা এই রিপোর্ট চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে৷ অন্য দিকে, গ্রামে ৫ শতাংশ কমেছে এই পরিমাণ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *