নয়াদিল্লি: বিপুল জয়ের পর এবার নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়ে মোদির সরকারের কাছে৷ দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় বসে গত ফেব্রুয়ারিতে ভোট অন অ্যাকাউন্টে একঝাঁক জনস্বার্থমূলক যে ঘোষণা করা হয়েছিল, প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে বাজেট পেশ করবেন নতুন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন৷ বাজেট পেশের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু, নির্মলার ঝুলিতে কর্মসংস্থান থেকে অর্থনীতির বিকাশে ঠিক কী কী চমক থাকতে পারে?
মোদি সরকারের কাছে এই মুহূর্তে অর্থনীতি সংক্রান্ত উদ্বেগ এখন বড় চ্যালেঞ্জ৷ ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে বেকারত্ব৷ আর্থিক বৃদ্ধির হারও কমেছে অনেকটাই৷ কমেছে শিল্পোৎপাদন৷ লগ্নিরও কম৷ একদিকে আর্থিক ঘাটতি, অন্যদিকে জনস্বার্থমূলক প্রকল্পকে টাকা জোগান দেওয়া এখন মূল মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ আগামী পাঁচ বছর অর্থনীতির বিকাশ ঘটিয়ে শিল্প, কৃষি, ব্যবসা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্য পূরণ করতেই হবে মোদি সরকারকে৷ কেননা, প্রথমবার মোদি সরকারের তরফে ১০ কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি৷ এবারও যদি তা কার্যকর না হয়, তাহলে নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনতে পারে কেন্দ্রের মোদির সরকার৷ মনে করা হচ্ছে, গতবারের ব্যর্থতা ও এবারে ‘সংকল্প’ পূরণে প্রতিফলন দেখা যেতে পারে আসন্ন বাজেটে৷ পরিশ্রুতি, প্রত্যাশা পূরণে এবার কি সংস্কারের পথেও হাঁটবেন নির্মলা? নাকি ভারসাম্য রক্ষার পথে ছুটবেন? তবে, এবারের বাজেটে দেশের জনতার জন্য খুব বড়বড় স্বস্তি দেবে তা নয়৷ বরং অনেক বেশি রক্ষণশীল হতে পারেন অর্থমন্ত্রী৷ আপাতত কঠোর আর্থিক সংস্কার করে অর্থনীতির হাল কিছুটা হলেও ধরার চেষ্টা করতে পারেন নির্মলা৷ তবে সেই পথে হাঁটতে গিয়ে বেকারত্ব কাঁটা পেরতে হবে তাঁকে৷ ফলে, এবারের বাজেটে কর্মসংস্থান ইস্যুকে কীভাবে ব্যবহার করে মোদি সরকার, সেদিকেই নজর গোটা দেশের৷