সোনায় লগ্নিতে লক্ষ্মীলাভ, ১ বছরে ‘রিটার্ন’ ৩৬ শতাংশ! চড়া বাজার

সোনায় লগ্নিতে লক্ষ্মীলাভ, ১ বছরে ‘রিটার্ন’ ৩৬ শতাংশ! চড়া বাজার

কলকাতা: করোনার থাবায় বেসামাল দেশের অর্থনীতি৷ করোনা আবহে এক লাফে বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে সাধারণ জনতার খবর৷ সৌজন্যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি৷ খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি কমেছে সাধারণ জনতার আয়৷ সঞ্চিত অর্থেও সুদ নিম্নমুখী৷ টালমাটাল শেয়ার বাজার৷ ফলে, এই মুহূর্তে কোনও বিনিয়োগই খুব একটা ভালো ‘রিটার্ন’ দিতে পারছে না৷ বাজার পড়লেও উল্টো পথে হেঁটেছে সোনা৷ সোনায় বিনিয়োগ করে প্রায় ৭ গুণ রিটার্ন পাওয়া গিয়েছে মাত্র এক বছরে৷ গতবছর ধনতেরসে ১০ গ্রাম সোনার দর ছিল ৩৯ হাজার টাকা৷ এবার সেই সোনা পৌঁছে গিয়েছে ৫৩ হাজার টাকায়৷ এক বছরের সোনায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রিটার্ন মিলেছে অন্তত ৩৬ শতাংশ৷ তাতে মুখে হাসি ফুটেছে লগ্নিকারীদের৷ এই পরিস্থিতি আগামী দিনেও বজায় থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

লকডাউনে ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার দর ছিল ৫৭ হাজার টাকার কাছাকাছি৷ আনলক পর্বে অবশ্য তা আর কমেনি৷ আমেরিকার নির্বাচনের কারণে বিশ্ব শেয়ার বাজার টালমাটাল থাকায় একটু একটু করে চড়তে থাকে সোনার দর৷ শেয়ারের তুলনায় সোনায় বেশি লগ্নি লাগিয়েছিলেন বহু বিনিয়োগকারী৷ স্বর্ণশিল্পরা জানিয়েছেন, শোয়ার বাজার চাঙ্গা না হওয়া পর্যন্ত দাম আপাতত ঊর্ধ্বমুখীই থাকবে৷ করোনা পরবর্তী বাজার ব্যবস্থায় ‘সেফ হেভেন’ হিসেবে সোনার উপর বেশি মাত্রায় বিনিয়োগ বাড়ছে৷ ফলে, চড়ছে দাম৷ এখন হলুদ ধাতু কিনলে দীর্ঘমেয়াদে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকছে৷ তবে, বাজারের মতিগতি না বুঝে বিনিয়োগ করলে উল্টে লোকসান হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে৷ ফলে, সব কিছু দেখে-বুঝে সোনায় বিনিয়োগ করা যাতেই পারে, বলছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷ এই মুহূর্তে চড়া সোনার বাজার৷ ধনতেরসের পুণ্যলগ্নে তড়িঘড়ি কোনও সিদ্ধান্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *