কলকাতা: গতি বাড়িয়েছে উত্তুরে হাওয়া৷ তাপমাত্রার পারদ এখন ‘ডিসেন্ডিং অর্ডারে’৷ তার সঙ্গেই শুরু ইংরেজি ক্যালেন্ডার মেনে আরও একপ্রস্থ উৎসবের প্রস্তুতি৷ এমনিতেই চড়া শাকসবজির চড়া বাজার দর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করল মুরগির মাংস আর পোলট্রির ডিমের দাম৷
এমনিতেই কেক তৈরির জন্য এসময়টা ডিমের ভাঁড়ারে একটু টান পড়ে৷ কিন্তু মুরগির মাংসের কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ ছাড়িয়ে একেবারে ১৬৫ -১৭০টাকায় পৌঁছেছে৷ পোলট্রির ডিম ৫ টাকা থেকে সাড়ে পাঁচ কোথাওবা ৬ টাকা৷ রাজ্য সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের হরিণঘাটা র মাংস ১৪০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে খোলা বাজারে দামে এতটা ফারাক?
বাজার বিশেষজ্ঞরা অবশ্য একে হুজুগ বলছেন৷ কারন তাদের মতে, পুজোর পর থেকে শাকসবজির বাজারে যে আগুন লেগেছে তার আঁচ মাছ-মাংসের ওপরেও কিছুটা ইচ্ছেমতোই ছড়িয়ে দিতে চাইছেন খোলা বাজারের বিক্রেতারা৷ মাছের বাজারে ২৫০ টাকার নীচে কাটা পোনা মেলা ভার৷ আর একটু ভালো মানের রুই-কাতলা ৩০০-৩৫০ টাকা৷ পাবদা, পার্শে, ভেটকি তো নাগালের বাইরেই৷ সাধারণ লোটে, ভোলা সেখানেও হাত টানতে হচ্ছে ক্রেতাদের৷ এই পরিস্থিতিতে মৎসপ্রেমীরা বিকল্প হিসেবে মুরগির মাংস আর ডিমের ভরসায় বাজারে যাচ্ছিলেন, এবার সেখানেও চড়া দরের চোখরাঙানি৷
শীতের বাজার আলো করা উচ্ছে-বেগুন-পটল-মূলো ৬০ থেকে ১০০ মধ্যেই ধরে রেখেছেন খোলা বাজারের বিক্রেতারা৷ তবে পেঁয়াজ আর টমেটোর দামে লাগাম দিতে ব্যর্থ স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও৷ বাজারের দর কমাতে টাস্কফোর্স গঠন, পুলিশের এনফোর্সমেন্টের আধিকারিকদের হানাদারি কিছুটা কার্যকরী হলেও সার্বিকভাবে তার সুফল থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ৷