গরীবের সংখ্যা করছে ভারতে, রিপোর্ট বিশ্ব ব্যাংকের

আজ বিকেল: ভারতীয় উপমহাদেশে দিনের পর দিন কমছে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা। ক্রমাগত এই প্রক্রিয়া চলতে থাকায় আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় তলানিতে এসে ঠেকবে দিন আনি দিন খাইয়ের পরিবারগুলি। এমনটাই বলছে বিশ্ব ব্যাংকের পরিসংখ্যা গত তথ্য। শোনা যাচ্ছে, দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যাধিক্যে এগিয়ে রয়েছে যে দশটি দেশ তারমধ্যে থাকবে না ভারত৷ এই

imagesmissing

গরীবের সংখ্যা করছে ভারতে, রিপোর্ট বিশ্ব ব্যাংকের

আজ বিকেল: ভারতীয় উপমহাদেশে দিনের পর দিন কমছে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা। ক্রমাগত এই প্রক্রিয়া চলতে থাকায় আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় তলানিতে এসে ঠেকবে দিন আনি দিন খাইয়ের পরিবারগুলি। এমনটাই বলছে বিশ্ব ব্যাংকের পরিসংখ্যা গত তথ্য। শোনা যাচ্ছে, দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যাধিক্যে এগিয়ে রয়েছে যে দশটি দেশ তারমধ্যে থাকবে না ভারত৷ এই ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পিছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে অর্থনীতিগত ও প্রযুক্তিগত দিকে দেশের অভাবনীয় উন্নতি। বলা বাহুল্য, এই বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যাদির উপরেই বড় ভরসা রাখছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। বিজেপির আশা আগামী লোকসভা ভোটের বৈতরণী পেরোতে এই পরিসংখ্যানই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

বিশ্ব ব্যাংকের তরফে জানা গিয়েছে, ২০১১সালে প্রকাশিত শেষ রিপোর্ট অনুসারে দারিদ্রসীমার তলানিতে থাকা ভারতীয়দের দৈন্দিন খরচ ১৩৪ টাকারও কম, আর এদের সংখ্যা ২৬ কোটি ৮০ লক্ষ। বলা বাহুল্য, বর্তমানের হিসেবে এই ভারতীয়দের খরচের পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে কমে গিয়েছে। আর এই ধরনের গরীব মানুষদের সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটির কাছাকাছি। এদিকে যে দেশে নিতান্তই গরীব মানুষের সংখ্যা তিরিশ লক্ষে এসে ঠেকতে চলেছে সে দেশের জনগণের পারিবারিক খরচা গণহারে কমে যাওয়ায় প্রভূত আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

তবে বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ দেখছেন না ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক ফিনান্স অ্যান্ড পলিসির অধ্যাপক এন আর ভানুমূর্তি, তাঁর মতে এই ধরণের দারিদ্র রেখার পতন মাঝেমধ্যেই ঘটে থাকে। এর আগেও ২০০৪- পাঁচ নাগাদ এমনই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি মনে করেন কেন্দ্রের নির্দেশিত বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের বাস্তবায়নের কারণেই কমছে তলানিতে থাকা দারিদ্রসীমার মানুষজন। এটি বিজেপি সরকারের জন্য উল্লেখযোগ্য তো বটেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *