নয়াদিল্লি: ‘হলমার্ক’ বাধ্যতামূলক হচ্ছে সোনার গয়নায়, নির্দেশিকা কার্যকর হচ্ছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে৷ মূল্যবান গয়নার ক্ষেত্রে ‘হলমার্ক’ কথাটি সকলেরই প্রায় পরিচিত৷ কিন্তু এবিষয়ে সম্যক ধারণা নেই অনেকেই৷ গয়নাতে সোনা, রূপো বা প্ল্যাটিনামের শুদ্ধতার মানদন্ড এই হলমার্ক চিহ্ন৷ দেশে গয়নার শুদ্ধতা পরীক্ষা করে ‘হলমার্ক’ অনুমোদন করে একমাত্র সরকারী সংস্থা ‘ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড’ (BIS)৷
এখন থেকে ভারতে সোনার গয়নায় ‘হলমার্ক’ বাধ্যতামূলক করছে কেন্দ্র সরকার৷ এসম্পর্কে একটি নির্দেশিকাও চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান৷ এবছর ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হবে৷ বিষয়টি বিশ্ব বানিজ্য সংগঠনকেও জানানো হয়েছেবলে জানিয়েছেন তিনি৷ ছোটো বড় সব গয়নার দোকানেই হলমার্কিং বাধ্যতামূলক করা হবে৷ এক্ষেত্রে গ্রাহককে হলমার্ক সার্টিফিকেটও দিতে হবে গয়নার দোকান থেকে৷ নতুন নিয়ম অনুযায়ী ১৪, ১৮ এবং ২২ ক্যারেট গয়নার ক্ষেত্রেই এই ‘হলমার্ক’ দেওয়া থাকবে৷
মূলত: যে কারণগুলির জন্য এই হলমার্কিং বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে সেগুলি হল-
১. ক্রেতাদের মূল্য দিয়ে ঠকতে হবেনা৷
২. বিক্রেতারাও সোনার গুনমান এবং মূল্য বজায় রাখবে৷
৩. ‘হলমার্ক’ সার্টিফিকেট থাকলে এক দোকানের গয়না সহজেই অন্য দোকানে বিক্রি করা যাবে৷
এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, ‘হলমার্ক’ গয়না বলে যেটা ক্রেতাদের দেওয়া হবে তার পরীক্ষিত কিনা? সেটা বোঝার উপায় হল গয়নায় খুব ছোট করে লেখা আইডি নাম্বার যেমন 22k916, 18k750, 14k585 ৷ এর অর্থ ওই গয়না সরকারীভাবে ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং খাঁটি বলে প্রমানিত হয়েছে এবং আইডি নম্বরে লেখা 22k, 18k, 14k সোনার ক্যারেট৷ ক্যারেট সম্পর্কে ধারণা থাকলেই সোনা আর খাদের পরিমান জানা যায়৷
২৪ ক্যারেট : সোনা থাকে ৯৯.৯%
২২ ক্যারেট : সোনা থাকে ৯১.৭%
১৮ ক্যারেট : সোনা থাকে ৭৫%
১৪ ক্যারেট : সোনা থাকে ৫৮.৩০%
তবে এই আইডি নম্বরে এর থেকে বেশি কিছু লেখা থাকলে সেটা সরকারীভাবে পরীক্ষিত নয় বলেই ধরে নিতে হবে৷ ইন্ডিয়ান বুলিয়ান অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে গয়না ব্যবসায়ীরা ১৪ ক্যারেট এর কম সোনার গয়না রাখেন তাদের সেই গয়না বিক্রির জন্য আরও ৬ মাস অতিরিক্ত সময় দেবে সরকার৷