এখনও পুরোনো গাড়ি ব্যবহার করেন? সাবধান! বাজেটে বড় প্রস্তাব কেন্দ্রের

এখনও পুরোনো গাড়ি ব্যবহার করেন? সাবধান! বাজেটে বড় প্রস্তাব কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি: মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে মহিলাদের উন্নয়ন, একাধিক চমকে ভরে আছে ২০২১-এর সংসদীয় বাজেট। করোনা অতিমারী পরবর্তী সময়ে এই বাজেটের দিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ।  দেশবাসীর প্রত্যাশা কতটা পূরণ করতে পারবেন অর্থমন্ত্রী, উঠেছিল সেই প্রশ্ন।

এবারের বাজেটে অতিমারী পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি পরিবেশের দিকেও নজর দিয়েছে কেন্দ্র। দূষণ রোধের উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। তেমনি এক কেন্দ্রীয় উদ্যোগ হল ভলান্টারি ভেহিক্যাল স্ক্র্যাপিং পলিসি (voluntary vehicle scraping policy)। ভারতের রাস্তা থেকে পুরোনো গাড়ি সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতেই এই পলিসি নিয়ে এসেছে কেন্দ্র সরকার। নতুন বাজেটে তার সঙ্গেই দেশবাসীকে পরিচিত করালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন।

কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০ বছরের বেশি সময় ধরে যে সমস্ত বেসরকারি গাড়ি রাস্তায় চলছে সেগুলিকে ভলান্টারি ভেহিক্যাল স্ক্রেপিং পলিসির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিং ফিটনেস সেন্টারে নিয়ে যাওয়া যাবে। গণপরিবহনের জন্য ব্যবহৃত গাড়ির ক্ষেত্রে এই মেয়াদ হবে ১৫ বছর। গাড়ি গুলির উপযুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সেগুলি স্ক্র্যাপিংয়ের শর্তাবলী পূর্ণ করে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে ওই ফিটনেস সেন্টারে।

বস্তুত, পুরোনো গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষণের এই ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে বহু দেশেই। এর ফলে একদিকে যেমন জ্বালানি বাঁচে এবং তেল আমদানির খরচ কমে অন্যদিকে তেমনই কমে বায়ুদূষণও। ভারতের মতো দেশ, যেখানে একাধিক জায়গায় বায়ুর দূষণের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেশি, সেখানে পুরোনো গাড়ি থেকে দূষণ রোধের এই উদ্যোগ একান্তই প্রয়োজনীয়। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই গাড়ি সংস্থাগুলি এই নিয়ম চালুর জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছিল। এবারের বাজেটেই তাঁদের সেই চাহিদা পূরণ করা হল। শুধু পুরোনো গাড়িই নয়, দূষণ নিয়ন্ত্রণে এবং ভারতের বাতাস পরিশুদ্ধ করার কাজে মোট ২২১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার, এদিন এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। ভলান্টারি ভেহিক্যাল স্ক্রেপিং পলিসির বিস্তারিত খুঁটিনাটি পরবর্তীকালে প্রকাশ করবে সড়ক মন্ত্রক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *