ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি, কিন্তু বিপদ এখনও শিয়রে

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি, কিন্তু বিপদ এখনও শিয়রে

নয়াদিল্লি: লকডাউন পর্ব কাটিয়ে শুরু হয়েছে আনলক৷ সেই সঙ্গে সচল হতে শুরু করেছে থমকে যাওয়া অর্থনীতি৷ গত আট বছরে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে পিএমআই ম্যানুফ্যাকচার৷ বৃদ্ধি পেয়েছে দেশীয় গাড়ির বিক্রি, ডিজেল বিক্রি৷ বেড়েছে কেন্দ্রের রাজস্ব আদায়, ইস্পাত উৎপাদন৷ তবে অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি৷ এখনও কোভিড পরিস্থিতি বিদ্যমান৷ ক্রমাগত বাড়ছে সংক্রমণ৷ তাই এই অগ্রগতির ধারা ধরে রাখাটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ রিপোর্ট বলছে, দীর্ঘস্থায়ী অতিমারি এবং সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ সাপ্লাই চেনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে৷ এর ফলে ব্যবসায়িক রূপান্তর, উৎপাদনশীলতা, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলির উপর প্রভাব ফেলতে পারে৷ 

আরও পড়ুন- ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি, বেশ কিছু ক্ষেত্রে বাড়ছে নিয়োগের সম্ভাবনা

তিনটি বিষয়ের উপর অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন নির্ভরশীল৷ প্রথমত, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, শক্তিশালি সার্ভিস সেক্টরের প্রত্যাবর্তন এবং ব্যক্তিগত চাহিদা বৃদ্ধি৷ কিছুটা হলেও এই তৃতীয় বিষয়টি প্রথম দুটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে সবার আগে সেই সকল শিল্পগুলির উপর নজর দিতে হবে, যেগুলির শীঘ্রই ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে এবং যেখানে শ্রমের চাহিদা বৃদ্ধি হতে পারে৷ পরিকাঠামো, নির্মাণ, উৎপাদন এবং খুচরো ব্যবসা হল এমন শিল্প যেখানে খুব শীঘ্র কর্ম সংস্থান তৈরি হতে পারে, বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি হতে পারে এবং এমএসএমই খাতেও অগ্রগতি আনতে পারে৷ 

আরও পড়ুন- রান্নার গ্যাসে কারচুপি রুখতে বড় পদক্ষেপ, বাধ্যতামূলক হচ্ছে OTP

করোনা প্যান্ডেমিক সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে ইনফর্মাল সেক্টরকে৷ দেশের বৃহত্তম কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী এমএসএমই সেক্টরই এখন সবচেয়ে বেশি সমস্যার মধ্যে রয়েছে৷ গত ছয় মাসে কাজ হারিয়েছেন অসংখ্য শ্রমিক৷ তারা সকলেই যে কাজ ফিরে পাবেন, সে বিষয়েও কোনও নিশ্চয়তা নেই৷ এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে ৫০ বছরের জন্য সুদ বিহীন ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে৷ আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের আওতায় গৃহীত পদক্ষেপের মাধ্যমে মূলধনী পণ্য, রাসায়নিক এবং ইলেকট্রনিক্স শিল্পের সম্ভাবনাগুলিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *