নয়াদিল্লি: দ্বিতীয়বারের জন্য বিপুল জনসমর্থন নিয়ে দিল্লির মসনদে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি৷ বিপুল প্রত্যাশা ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় আসা নরেন্দ্র মোদি সরকার এবার চাকরিজীবীদের জন্য নয়া খবর দিতে চলেছে৷ জানা গিয়েছে স্বশাসিত ইপিএফও সংস্থার পরিচালনায় পুরোপুরি নিজেদের কাঁধে তুলে নিতে চাইছে কেন্দ্র৷ আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চাকরিজীবীদের একাংশ৷
কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন বা ইপিএফও এতদিন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীকে অধীনে স্বশাসিত সংস্থা হিসেবে চাকরিজীবীদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করে আসছে৷ কত শতাংশ হারে ইপিএফে সঞ্চিত অর্থের উপর চাকরিজীবীরা আমানতে সুদ পাবেন তাও নির্ধারিত করত এই সংস্থা৷ কিন্তু এবার সেই স্বশাসিত সংস্থার রাশ নিজেদের দখলে আনতে উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার৷ আর তার ফলে ইপিএফের ১০ লক্ষ কোটি টাকার দায়ভার সম্পূর্ণ নিজেদের কাঁধে চাপিয়ে নিতে চলেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার৷
জানা গিয়েছে, ইপিএফও নিয়ন্ত্রণে একটি বোর্ড গঠন করা হবে৷ সেই বোর্ডের তত্ত্বাবধান করবে কেন্দ্র সরকার৷ প্রয়োজনে হস্তক্ষেপ করবে কেন্দ্র৷ ইপিএফও’র দখল নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার বিষয়ে সামাজিক সুরক্ষা কোড বিল ২০১৯ খসড়া ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক৷ ওই খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পদাধিকারবলে ইপিএফও কর্মচারীদের ইএসআই দায়িত্ব নেবে কেন্দ্রী৷ গোটা বিষয়টি কেন্দ্র সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে বলেও জানানো হয়েছে৷ এই মর্মে বিলের খসড়া অনলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে বলে খবর৷
আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই বিলের ওপর মতামত জানতে চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে৷ মনে করা হচ্ছে, অক্টোবরের মাঝামাঝিতে শুরু হওয়া সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে এই বিল তুলতে পারে মোদি সরকার৷ নয়া এই বিল পাস হলে কর্মচারীদের চাকরিজীবীদের পিএফের সুদের হার সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা কী হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে চলে যাবে৷ আর তাতেই চাকরিজীবীদের নিজস্ব দাবি-দাওয়া আদায় কেন্দ্র সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷