কলকাতা: আলোর উৎসব দীপাবলি মিটতে না মিটতেই বাজারে আসছে টাটা টেকনোলজিসের ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা আইপিও৷ টাটা টেকনোলজিসের প্রতি শেয়ারের দাম রাখা হয়েছে টাকা গ্রুপের সুনামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই৷ আগামী ২২ নভেম্বর টাটা টেকনোলসিজের আইপিও বাজারে আসতে চলেছে৷ কিন্তু এখন প্রশ্ন হল, আপনি চাইলেই কি এই আইপিও কিনতে পারবেন? আর যদি পেয়ে যান, তাহলে কী আদৌও লক্ষ্মীলাভ হবে? আইপিও কিনতে হলে কত টাকাই বা আপনাকে গুনতে হবে? এই প্রতিবেদনে রয়েছে বিস্তারিত তথ্য৷
১৯৯৪ সালে টাটা টেকনোলজিস তৈরি হয়৷ অটোমাবাই, এরোস্পেস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিয়ানি, কনজুমার গুডস ইন্ডাস্ট্রির ইঞ্জিনিয়ারিং পরিষেবা দিয়ে থাকে টাটা টেকনোলজিস৷ এই সমস্ত ইন্ডাস্ট্রিতে ইঞ্জিনিয়ারিং সংক্রান্ত যে কোনও কাজ, পরিকল্পনা রূপায়ন থেকে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন-সহ ধরণের পরিষেবা দিয়ে থাকে টাটার এই সংস্থা৷ বাজারে এই পরিষেবার চাহিদাও রয়েছে যথেষ্ট। এই মুহূর্তে টাটা টেকনোলজিসের সম্পদের পরিমাণ ৫১৪২.৪২ কোটি টাকা৷ ৭০শতাংশের কাছাকাছি রেভিনিউ গ্রোথ রয়েছে এই সংস্থার৷ সেপ্টেম্বর FY24 শেষ হওয়া ছয় মাসের মেয়াদে মুনাফা ৩৬ শতাংশ বেড়েছে৷ ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত বছরে ৬২৪ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে৷ সংস্থার মুনাফা বেড়ছে ৪২.৮ শতাংশ৷ পিই অনুপাত ৩২.৫৩-এর কাছাকাছি৷ ইপিএস ১৫.৩৭, আরএনডব্লিউ ২০.৮৭শতাংশ৷ ২০২৮৩.৪৩ কোটি টাকার মার্কেট দখল রয়েছে টাটা টেকনোলজিসের৷
টাটা টেকনোলজিসের আইপিও বাজারে আসছে ২২ নভেম্বর৷ ২৪ নভেম্বর বন্ধ হয়ে যাবে এই আইপিও৷ চলতি মাসের শেষেই এই সংস্থা শেয়ার বাজারে এললিস্টেড হয়ে যেতে পারে৷ টাটা টেকনোলজিস আইপিওর দাম রাখা হয়েছে ৪৭৫টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত৷ বিনিয়োগকারীরা কমপক্ষে ৩০টি ইক্যুইটি শেয়ার কিনতে পারবেন৷ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ন্যূনতম বিনিয়োগ করতে হবে ১৪ হাজার ২৫০টাকা৷ এখানে ৩০টি শেয়ার প্রতি ১ লট ধার্য করা হয়েছে৷ অর্থাৎ এই আইপিও কিনতে হলে আপনাকে এক লটের জন্য গুনতে হবে ৩০x৪৭৫=১৪২৫০টাকা৷ তবে, এই আইপিওতে একাধিক লট কেনার সুযোগ প্রায় থাকছে না বললেই চলে৷ কারণ, বাজারে আসা মাত্র এই আইপিও ওভার সাবস্ক্রিপশন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল৷ ওভার সাবস্ক্রিপশন হয়ে গেলে সাধারণ কেত্রা এই আইপিও কেনা থেকে বঞ্চিত থাকতে পারেন৷ সংস্থার তরফে লটারির মাধ্যমে আইপিও বণ্টন করতে পারে বলেও তৈরি হয়েছে আশঙ্কা৷ কেননা, মাত্র ৩৩ শতাংশ সাধারণ কেত্রাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে এই আইপিও৷
গ্রেমার্কেটে কানাঘুষো চলছে, এই আইপিওর দাম ৬৫ শতাংশের বেশি চড়তে শুরু করেছে৷ শেয়ারের এললিস্টেড হতেই এই শেয়ারের দাম ১০০০টাকা পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে বলে চলছে কানাঘুষো৷ আর এই কানাঘুষো যদি সত্যি হয়, তাহলে লাভের পরিমাণ যে কতটা হতে পারে, তা নিশ্চিত ভাবেই অনুমান করা যাচ্ছে৷ তবে, মনে রাখা জরুরি, কানাঘুষো কোনও তথ্যের ভিত্তিতে শেয়ারের বাজার চলে না৷ সরবরাহ ও চাহিদার উপর ভিত্তি করেই চলে বাজার৷ বাজার বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, টাটার এই আইপিও এললিস্টেড গেন হতে পারে৷ এললিস্টেড হওয়ার পর শেয়ার দাম ছুঁতে পারে ১ হাজার টাকার কাছাকাছি৷ প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ৫৯ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পেতে পারেন অনুমান বাজার বিশেষজ্ঞদের৷ তবে আবার বিপরীতও হতে পারে। তবে, বাজারের অনুমান যাই হোক না কেন, টাটা টেকনোলজিসের এই আইপিওকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রও তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছেন বিনিয়োগকারীদের একাংশ৷
এক্ষেত্রে মনে রাখা জরুরি, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে গেলে অবশ্যই টেকনিক্যাল, ফান্ডামেন্টাল এবং ঝুঁকির দিক বিবেচনা করেই হবে৷ ট্রেডিং করার আগে প্রয়োজনে স্টক মার্কেট বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন৷ LIVE শেয়ার বাজারে শিক্ষামূলক টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হতে পারেন আপনিও৷ ট্রেডিং দক্ষতা বাড়াতে যুক্ত হতে পারেন Options Calls – Nifty & Bank Nifty Calls – Index Options Trading— এই টেলিগ্রাম চ্যানেলে৷ https://t.me/NiftyBankNiftyIndexOptionsCalls