নয়াদিল্লি: দেশে বেকারত্বের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। তার ওপর কোভিড-১৯ অতিমারির জেরে আরও কত মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসা করে আত্মনির্ভরশীল হতে পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। এমনই এক ক্ষুদ্র শিল্প হল ডেয়ারি। দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদা ভারতের বাজারে কোনওদিনও বন্ধ হবে না, ফলে এই ব্যবসায় লাভ হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি।
পাঁচ লক্ষ টাকা মূলধন দিয়ে শুরু করে মাসে ৭০,০০০ টাকা আয় করা যেতে পারে ডেয়ারি ব্যবসায়। আর এই ব্যবসা শুরু করতে সাহায্য করবে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা প্রকল্প। এই প্রকল্পের তিনটি ভাগ আছে— শিশু, কিশোর এবং তরুণ। শিশু প্রকল্পে পাওয়া যাবে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ। কিশোর প্রকল্পে ঋণের পরিমাণ ৫০,০০০ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা এবং তরুণ প্রকল্পে পাঁচ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
ব্যবসা শুরু করতে মোটামুটি ১৬.৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে পাঁচ লক্ষ নিজেকেই জোগাড় করতে হবে। বাকিটা দেবে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা। সাড়ে সাত লক্ষ ‘টার্ম লোন’ এবং চার লক্ষ কার্যকরী মূলধন হিসাবে দেওয়া হবে ব্যাঙ্ক থেকে।
ব্যবসায় কাঁচামাল হিসাবে প্রতিমাসে প্রয়োজন হবে ১২,৫০০ লিটার দুধ, ১০০০ কেজি চিনি, ২০০ কেজি ফ্লেভার এবং ৬২৫ কেজি মশলা। এর জন্য খরচ হবে চার লক্ষ টাকা। এ দিয়ে বানানো এবং বিক্রি করা যাবে ৭৫ লিটার ফ্লেভারড দুধ, ৩৬,০০০ লিটার দই, ৯০,০০০ লিটার মাখন-দুধ এবং ৪৫০০ লিটার ঘি। এর ফলে বার্ষিক আয় (টার্নওভার) দাঁড়াবে ৮২.৫ লক্ষ টাকার আশেপাশে। এদিকে বার্ষিক লগ্নির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৭৪.৪০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে থাকবে ব্যাঙ্কের সূদও। ফলে বার্ষিক লাভের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৮.১০ লক্ষ টাকার মতো।
তবে শুধু মূলধন লাগবে জায়গাও এবং কিছু যন্ত্র। মোট ১০০০ বর্গফুট জায়গা লাগবে যার মধ্যে ৫০০ বর্গফুট প্রসেসিং এরিয়া, ১৫০ বর্গফুট রেফ্রিজারেশন রুম, ১৫০ বর্গফুট ধোওয়ার জায়গা, এবং ১০০ বর্গফুট অফিস ঘরের জন্য লাগবে। যন্ত্র হিসাবে লাগবে প্যাকিং মেশিন, ক্রিম আলাদা করার যন্ত্র, অটোক্লেভ, বোতল, রেফ্রিজারেটর, ডিপ ফ্রিজার, ক্যান কুলার, তামার গরম করার যন্ত্র ইত্যাদি।