নয়াদিল্লি: গৃহঋণের উপর সুদের হার কমাল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া৷ ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণে ০.০৫ শতাংশ সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ গৃহঋণের উপর কিছু ছাড় দেওয়া হলেও অন্যান্য পরিষেবায় সুদের হার আগের মতোই আছে৷ এই সিদ্ধান্তে ৮০ লক্ষ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গ্রাহকরা উপকৃত হবে বলে জানানো হয়েছে৷
গত বৃহস্পতিবার সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় RBI৷ রেপ রেট কমায় গৃহ ও গাড়ি ঋণে স্বস্তি মিলতে পারে খবর আগেই প্রকাশিত হয়েছিল৷ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রেপো রেট কমানোর কথা জানান রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। এদিন তিনি জানান, ০. ২৫ শতাংশ কমে রেপো রেট করা হল ৬. ২৫ শতাংশ। এই হারে অন্য ব্যাংকে টাকা ধার দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষের মধ্যে এটা ছিল আরবিআইয়ের দ্বিতীয় সুদ নীতি। নতুন গর্ভনর শক্তিকান্ত দাসের আমলে এটাই প্রথম ঋণ নীতি।
গত বছরের জানুয়ারি থেকে রেপো রেট ৮ শতাংশই রেখে দিয়েছে শীর্ষ ব্যাংক। মূল্যবৃদ্ধি কমতে থাকায় বেশ কিছু দিন ধরেই বেঞ্চমার্ক সুদ কমানোর জন্য চাপ বাড়ছিল শীর্ষ ব্যাংকের উপর। ব্যাংক ও শিল্পমহলের সঙ্গে চাপ বাড়াচ্ছিল কেন্দ্রীয় সরকারও। এ দিন রেপো রেটও ০.২৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে টাকার যোগান বাড়বে বলে দাবি করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। রিডার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, প্রত্যাশার চেয়ে আপাতত অনেক নিয়ন্ত্রণে মুদ্রাস্ফীতি।
এ দিন রিজার্ভ যে সুদের হার কমালো তার সুবিধা কিন্তু, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলির বর্তমান ঋণগ্রহীতারা পাবেন না৷ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলি যদি তাদের গৃহঋণে সুদের হার এখন কমায় তবে সেই সুবিধা তাঁরাই পাবেন যাঁরা নতুন গৃহঋণ নেবেন৷ কেননা, চলতি অর্থবর্ষ থেকে ব্যাংকগুলি গৃহঋণ দেওয়া শুরু করেছে তাদের আমানত জোগাড়ের প্রান্তিক খরচ বা মার্জিনাল কস্ট-বেসড লেন্ডিং রেট-এর (এমসিএলআর) ভিত্তিতে৷ আর, বেশিরভাগ ব্যাংকই তাদের গৃহঋণে সুদের হার নির্ধারণ করে ব্যাংকের এক বছরের এমসিএলআর-ভিত্তিতে৷ অর্থাৎ আপনি যে সুদের হারে গৃহঋণ নিয়েছেন সেই সুদের হার ঋণ নেওয়ার এক বছর পর সংশ্লিষ্ট এমসিএলআর-এ বৃদ্ধি বা হ্রাসের উপর নির্ভর করে বাড়বে বা কমবে৷