২ মিনিটে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন গ্রাহকরা, নতুন উদ্যোগ নিল Paytm

নয়াদিল্লি: করোনা মহামারী আর লকডাউনের জোড়া ফলায় মানুষের আর্থিক পরিস্থিতি এ বছর বেশ খারাপ হয়েছে। মানুষের হাতে নগদ তেমন নেই। ফলে সঙ্কটের সামনে পড়লে প্রয়োজন হচ্ছে ঋণ নেওয়ার। কিন্তু সেক্ষেত্রেও ঝামেলা। ঋণ পেতে গিয়েও নাজেহাল হচ্ছেন আমআদমি। এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এল Paytm।

নয়াদিল্লি: করোনা মহামারী আর লকডাউনের জোড়া ফলায় মানুষের আর্থিক পরিস্থিতি এ বছর বেশ খারাপ হয়েছে। মানুষের হাতে নগদ তেমন নেই। ফলে সঙ্কটের সামনে পড়লে প্রয়োজন হচ্ছে ঋণ নেওয়ার। কিন্তু সেক্ষেত্রেও ঝামেলা। ঋণ পেতে গিয়েও নাজেহাল হচ্ছেন আমআদমি। এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এল Paytm।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল পেমেন্ট সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম Paytm বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই তাৎক্ষণিক ব্যক্তিগত ঋণের পরিষেবা চালু করেছে। এর ফলে উপকৃত হবেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। কয়েকটি সাধারণ শর্ত পূরণ করলেই ঋণ দিতে তৈরি এই সংস্থা। মাত্র ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যেই ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন গ্রাহকরা। তবে শুধু করোনা পরিস্থিতিতেই যে এই ঋণ পাওয়া যাবে, তা নয়। যখন প্রয়োজন পড়বে, তখনই Paytm থেকে ব্যক্তিগত ঋণ পাবেন গ্রাহকরা। কিন্তু এখানে আসছে একটি প্রশ্ন। মাত্র ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যেই কীভাবে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেবে Paytm? সংস্থার তরফে খবর, সিবিল স্কোর বা ক্রেডিট স্কোর এবং শপিং প্যাটার্নের ভিত্তিতে Paytm এই ব্যক্তিগত ঋণ দেবে।

বেতনভোগী বা চাকুরিজীবী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা এমনই নানা পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষ তাঁদের ক্রেডিট স্কোর এবং শপিং প্যাটার্নের ভিত্তিতে Paytm থেকে এই ব্যক্তিগত ঋণ নিতে পারবেন। Paytm সূত্রে এও জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তিগত ঋণ ১৮ মাস থেকে ৩৬ মাসের সহজ কিস্তিতে শোধ করা যাবে। এই ঋণ দেওয়ার জন্য Paytm নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থাগুলির (NBFC) সঙ্গে চুক্তি করেছে। Paytm অ্যাপ থেকে সহজেই মাত্র ২-৩ মিনিটে স্বল্পমেয়াদী ব্যক্তিগত ঋণ পাওয়া যাবে। Paytm-এর প্রধান নির্বাহী ভবেশ গুপ্তা জানান, যে কোনও আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলায় যাতে সহজেই ঋণ পাওয়া যায় তাই এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন। এই সময় ব্যাঙ্ক থেকে তাৎক্ষণিক স্বল্পমেয়াদী ঋণ পাচ্ছেন না অনেকেই। তাই Paytm-এর এই উদ্যোগে যে অনেক মানুষ উপকৃত হবে তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *