মুম্বই: করোনা ভাইরাসের মারণ থাবায় যখন বিপর্যস্ত হয়েছিল গোটা বিশ্বের অর্থনীতি, তখনও বিশ্বের ধনীতম শিল্পপতিদের তালিকায় উপরের দিকেই দেখা গিয়েছিল মুকেশ আম্বানির নাম। কিন্তু তারপর থেকে ভারতীয় এই শিল্পপতির লোকসানের পরিমাণ সেই যে কমতে শুরু করেছে, তার রেশ এখনও অব্যাহত। ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় ৫ নম্বর থেকে নামতে নামতে এখন মুকেশ আম্বানির অবস্থান দশম স্থানে।
বুধবার সকলেও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের শেয়ার দর ২% কমে গেছে, জানিয়েছে সূত্র। এদিন প্রতি ক্ষেত্রে রিলায়েন্সের দর ছিল মাত্র ১৮৯২টাকা। এই নিয়ে পরপর দুবার বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে মুকেশ আম্বানির মালিকানাধীন রিলায়েন্সের সেনসেক্স সবচেয়ে খারাপ ফল করল। এখান থেকেই কি তৈল এবং টেলিকম ব্যবস্থার একীভবনের পতনের সূত্রপাত? তেমনটাই মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
সম্প্রতি বহুজাতিক সংস্থা ম্যাককোয়ারির (Macquarie) তরফ থেকে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে সংস্থার তরফে আদিত্য সুরেশ এবং অভিনীল দহিওয়ালে রিলায়েন্সের সঙ্গে তাঁদের বরাদ্দ শেয়ারের ৩% কেটে নিয়েছেন। প্রতি শেয়ারে বার্ষিক ১৩৫০টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তাঁরা।
ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধির হার ছিল বার্ষিক ৯% , যা রীতিমতো আকর্ষণীয়। কিন্তু চলতি বছরে রিলায়েন্সের এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম (EPS) ১০% হ্রাস পেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অক্টোবর-ডিসেম্বর নাগাদ রিলায়েন্স কেমিক্যাল এবং জ্বালানির ব্যবসায় একটা নতুন তৈল রাসায়নিক বিভাগের সূচনা করেছিল। কিন্তু এই ব্যবস্থা বিশেষ সুবিধা করতে পারে নি।
তবে মুকেশ আম্বানির কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ার বিশেষ কারণ দেখছেন না বহুজাতিক সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে জিও সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৪০ কোটিরও বেশি। ২০২৩ সালের মধ্যেই এই সংখ্যা ৫০ কোটির কাছাকাছি পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া ২০৩০ আর্থিক বছরের মধ্যে রিলায়েন্সের খুচরো ব্যবসার বিভাগও প্রায় ৫০০ কোটির দরজা ছুঁয়ে ফেলবে, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।