মুম্বই: রবিবার রাত ৯টা বাজতেই সারা দেশে কমতে শুরু করে বিদ্যুতের চাহিদা৷ আবার ৯টা বেজে ৯ মিনিটে হঠাৎ করেই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়৷ কিন্তু চাহিদার এই ওঠা পড়ার লোড দক্ষ হাতেই সামলায় মহারাষ্ট্র স্টেট লোড ডিসপ্যাচ সেন্টার (এমএসএলডিসি)৷ মহারাষ্ট্র বিদ্যুৎ সংস্থার ধারণা ছিল ৯ মিনিটের ব্ল্যাকআউটে ১,৭০০ থেকে ১,৭৫০ মেগাওয়াট চাহিদা কমবে৷ কিন্তু এই ৯ মিনিটে চাহিদা কমে প্রায় ৩,২৩৭ মেগাওয়াট৷
করোনার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়ছে দেশের মানুষ৷ দেশের ‘মহাশক্তি’ জাগ্রত করতেই রবিবার রাত ৯ টা থেকে ৯ টা বেজে ৯ মিনিট পর্যন্ত ঘরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালানোর জন্য ১৩০ কোটি দেশবাসীর কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এই ৯ মিনিটে সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটা নেমে যায়৷ মহারাষ্ট্রে ৮টা বেজে ৫৯ মিনিটে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৩,১৬০ মেগাওয়াট৷ কিন্তু ৯টা বেজে ৫ মিনিটেই তা নেমে যায় ৯, ৯২৩ মেগাওয়াটে৷
এমএসএলডিসি-র এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা বিদ্যুৎ চাহিদার এই ওঠাপড়া সফল ভাবেই সামলেছি৷ স্বাভাবিকের তুলনায় হঠাৎ করে চাহিদা অনেকটা কমে যাবে এটা জানাই ছিল৷ তাই ৯টা বাজার আগেই আমরা ৪৯.৭৩ হার্জ ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়ে দিই৷ যার জেরে ৯ মিনিট পর বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়লেও গ্রিডের উপর চাপ পড়েনি৷’’ তিনি আরও জানান, আদানি পাওয়ার, জেএসডব্লিউ এনার্জি ছাড়াও রাজ্যের ২৮টি থার্মাল ইউনিটের মধ্যে সক্রিয় ছিল মাত্র পাঁচটি৷
৮টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৯,৫৭৭ মেগাহার্জ৷ হাইড্রো পাওয়ার এবং গ্যাস প্রোজেক্টের সহায়তায় তা ৬,০৪১ মেগাহার্জে নামিয়ে আনা হয়৷ এমএসএলডিসি আরও জানায়, ৯টা বেজে ৯ মিনিটের পর ধীরে ধীরে বাড়ানো হয় ফ্রিকোয়েন্সি৷