ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন? ডার্ক ওয়েবে ফাঁস লক্ষাধিক গ্রাহকের তথ্য!

ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন? ডার্ক ওয়েবে ফাঁস লক্ষাধিক গ্রাহকের তথ্য!

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ডিজিটাল মাধ্যমের প্রচলন যে বেড়ে গেছে, তা বলাই বাহুল্য।লেখাপড়া হোক বা ব্যবসা বাণিজ্য, সর্বত্র বেড়েছে অনলাইনের চাহিদা। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে অনলাইন কার্যকলাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইবার ক্রাইমও। অপরাধ জগতে প্রযুক্তির ব্যবহার তথা সাইবার ক্রাইমের দৌরাত্ম্য যেভাবে দিন দিন বেড়ে চলেছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরাও।

সম্প্রতি সাইবার ক্রাইমের আরও এক নজিরবিহীন ঘটনা সামনে এসেছে৷ যা নিয়ে ইতিমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে আলোড়ন। প্রায় ১০ কোটির উপর ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড ধারণকারী ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে ডার্ক ওয়েবে৷  এমনটাই জানা গেছে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে। এই সমস্ত তথ্যের মধ্যে রয়েছে কার্ড ব্যবহারকারীর সম্পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর এবং ইমেল অ্যাড্রেস। শুধু তাই নয়, ফাঁস হয়েছে তাঁদের কার্ডের প্রথম এবং শেষ চারটি সংখ্যাও।

ঠিক কোন সূত্রে কীভাবে ফাঁস হল এই সমস্ত মূল্যবান তথ্য? প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ভারতীয় তথা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থা যেমন আমাজন (Amazon), মেক মাই ট্রিপ (Make my trip) সুইগি প্রভৃতির সঙ্গে যুক্ত অর্থ লেনদেনকারী অ্যাপ, জাসপে (Juspay) থেকে এই তথ্য ফাঁস হয়ে থাকতে পারে। বেঙ্গালুরুর এই সংস্থা নিজেদের কিছু তথ্যের গোলমালের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে। জানা গেছে, ডার্ক ওয়েবে ফাঁস হওয়া তথ্যাবলী ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হওয়া অনলাইন লেনদেন সম্পর্কিত। বহু ভারতীয় কার্ড ধারকদের তথ্য এতে ফাঁস হয়েছে। যদিও নির্দিষ্ট ভাবে কোনো লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ ফাঁস হয়নি বলেই খবর গোপন সূত্রে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে সাইবার সিকিউরিটি রিসার্চার রাজশেখর রাজাহারিয়া এই বিষয়টি প্রথম লক্ষ করেন। তারপরেই তিনি গ্যাজেট ৩৬০-কে জানান প্রচুর তথ্য ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করা হচ্ছে। রাজাহারিয়ার কথায়, “একজন হ্যাকার টেলিগ্রামের মাধ্যমে ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন।” তথ্যের গোলমালের কথা মেনে নিলেও এ বিষয়ে বিশদে মুখ খুলতে চান নি জাসপের সচিব বিমল কুমার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *