মুম্বই: মুকেশ আম্বানীর লোকসান হলো ৪৩ হাজার কোটি টাকা৷ এর জেরেই এশিয়ার সব থেকে ধনীর তকমা হারালেন মুকেশ আম্বানী৷ জানা গিয়েছে, তেলের দাম ৩০ শতাংশ কমে যাওয়ার কারণে মুকেশ আম্বানীর এই ক্ষতি হয়েছে৷ ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার্স এনডেক্সে এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হয়েছেন মুকেশ আম্বানী৷
সৌদি আরব ও রাশিয়ার মধ্যে রেষারেষির জেরে গত ২৯ বছরে তেলের দাম সব থেকে কমে গিয়েছে৷ তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনা আতঙ্ক৷ করোনা আতঙ্কের জেরে জ্বালানীর দামও হু হু করে কমছে৷ করোনা ভাইরাসের জেরে আলিবাবার ব্যবসাও বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ এর ফলে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দাম ১২ শতাংশ কমে গিয়েছে৷ তবে শুধু মুকেশ আম্বানী নয়, আর যে সব ধনকুবের তেলের ব্যবসা আছে, তাঁরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ তাদের মধ্যে উল্লখযোগ্য হ্যরোল্ড হ্যাম ও জেফ হিল্ডেব্যান্ড৷
জানা গিয়েছে সৌদি আরবের অ্যারমাকোর সঙ্গে মুকেশ আম্বানীর সংস্থা চুক্তি করেছে. এই চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে মুকেশ আম্বানী মোট ঋণ মেটাতে চান৷
২০১৮ সাল পর্যন্ত এশিয়ার সব থেকে ধণী ব্যক্তি ছিলেন আলিবাবা৷ কিন্তু পরে আলিবাবার জায়গা নিয়ে নেন মুকেশ আম্বানী৷ করোনা ভাইরাসের জেরে আলিবাবার ব্যবসা বেশ ভালোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ করোনার জেরে ভারতের পাশাপাশি বিশ্বের শেয়ার বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এখন দেখার বিষয় করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে কবে বিশ্বের শেয়ার বাজার আগের অবস্থায় ফিরতে পারে৷