নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০ লাখ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন মঙ্গলবার রাতে। অর্থমন্ত্রক ধাপে ধাপে বিস্তারিত তথ্য দিচ্ছে৷ তা নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন৷ তবে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই প্যাকেজ জিডিপির ১০ শতাংশ। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের আর্থিক প্যাকেজ বিচার করলে মোদির ঘোষিত প্যাকেজ কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে তা দেখে নেওয়া যাক।
পৃথিবীর বৃহৎ অর্থনৈতিক শক্তিগুলির মধ্যেই যদি বিচার করা হয়, তবে কোভিড-১৯ বেল আউট প্যাকেজ ঘোষণার নিরিখে ভারত পঞ্চম স্থানে দাঁড়িয়ে। এক্ষেত্রে খুব সহজেই G-20 দেশগুলিকে বিচার করা যেতে পারে। অর্থনীতিবিদ সেহান এলগিন একটি তালিকা তৈরি করেছেন – কোভিড-১৯ ইকোনোমিক স্টিমুলাস ইনডেক্স। জিডিপির ১০ প্যাকেজ ঘোষণার মাধ্যমে ভারত G-20 দেশগুলির মধ্যে পঞ্চম। জিডিপির ২১.১ শতাংশ প্যাকেজ ঘোষণা করে প্রথম স্থানে রয়েছে জাপান।
দ্বিতীয় আমেরিকা। তিন দফায় কোভিডের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে ট্রাম্প সরকার – ৮.৪ বিলিয়ন, ১৯২ বিলিয়ন, ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার – যা দেশের জিডিপি'র ১৩.৩ শতাংশ। তৃতীয়, অস্ট্রেলিয়া, নিজের জিডিপির ১০.৮ শতাংশ, চতুর্থ জার্মানি ১০.৭ শতাংশ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
যদি, G-20 দেশগুলিকে বাদ দিয়ে বিশ্বের সমস্ত দেশের নিরিখে বিচার করা হয় তবে ভারতের আর্থিক প্যাকেজ জিডিপির বিচারে, হংকং-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে তালিকায় ১৯ নম্বর স্থানে রয়েছে।
জিডিপির অঙ্ক দিয়ে বিচার না করে মূল প্যাকেজ ধরেও তালিকা তৈরি করা যায়। সেক্ষেত্রে ভারতের বেল আউট প্যাকেজ হল ২৬৫ বিলিয়ন ডলার। প্যাকেজের মোট অর্থের অঙ্কে কোন দেশ কোথায় দাঁড়িয়ে তা দেখে নেওয়া যেতে পারে। আমেরিকা ইতিমধ্যেই তিন দফা মিলিয়ে ২.৭ ট্রলিয়ন ডলার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। শোনা যাচ্ছে, আসতে পারে চতুর্থ দফাও। জাপান ১.১ ট্রিলিয়ন ডলার, জার্মানি ৮১৫ বিলিয়ন ডলার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। মূল প্যাকেজ বিচার করলে, আমেরিকা, ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন বৃহৎ আর্থিক প্যাকেজের দিকেই গিয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, এই প্যাকেজ গুলি কতটা বড় বা ছোট, তা বিচার করা যাবে সেই দেশের অর্থনীতি, সামাজিক পরিস্থিতি এবং জনসংখ্যা, কোভিডের প্রভাব দেখে।