ই-কমার্সে পণ্যের দাম এত কম কেন? বড় আশঙ্কা বাণিজ্যমন্ত্রীর!

কলকাতা: উৎপাদন খরচের থেকেও কম দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে ই-কমার্সে। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব? ই-কমার্স সাইটগুলি নয়া এই কৌশল নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী…

e commerce

কলকাতা: উৎপাদন খরচের থেকেও কম দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে ই-কমার্সে। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব? ই-কমার্স সাইটগুলি নয়া এই কৌশল নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল৷

কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, উৎপাদন খরচের থেকেও কম দামে পণ্য বিক্রির ফলে চিরাচরিত খুচরো বাজারে তার বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে৷ সেক্ষেত্রে খুচরো বাজারে কর্মী ছাঁটাই হতে পারে৷ বর্তমান সময়ে ই-কমার্স গুরুত্বপূর্ণ বলে স্বীকার করে নিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু, প্রতিযোগিতার বাজারে ই-কমার্সগুলির কী ভূমিকা হওয়া উঠিত, সে ব্যাপারে সতর্ক ভাবে চিন্তা করার সময় এসে গিয়েছে বলেও জানান গয়াল৷

‘নেট ইমপ্যাক্ট অফ ই-কমার্স অন এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড কনজ়িউমার ওয়েলফেয়ার ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক এক রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “প্রিডেটরি প্রাইসিং পলিসি কি দেশের জন্য ভালো?’ বড় ই-কমার্স সংস্থাগুলির লগ্নি কৌশলের সমালোচনা করে তাঁর বক্তব্য, ‘যখন অ্যামাজ়ন ভারতে কয়েক বিলিয়ন ডলার লগ্নির কথা বলে, তখন আমাদের আনন্দ হয়৷ কিন্তু, এটা আমরা ভুলে যাই যে তাদের বিলিয়ন ডলার লগ্নি কোনও বিরাট পরিষেবা বা ভারতের অর্থনীতিকে সহায়তা করতে আসছে না৷ তারা ওই বছরে কয়েক বিলিয়ন ডলার লোকসান করেছে। ব্যালান্সশিটে সেই লোকসানের মোকাবিলায় তারা লগ্নি করছে৷’

পহলে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্মসংস্থান সৃষ্টির ই-কমার্স মূল চালিকাশক্তি। অনলাইন ভেন্ডররা ভারতে ১৫.৮ মিলিয়ন চাকরি তৈরি করেছে৷ তার মধ্যে ৩.৫ মিলিয়ন মহিলা কর্মী৷ ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতে ই-কমার্সের জনপ্রিয়তা ও রমরমার জন্য চিরাচরিত খুচরো ব্যবসার কোনও ক্ষতি হয়নি৷ পহলে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ভারতে চিরাচরিত খুচরো ব্যবসার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। তবে রিপোর্টের সঙ্গে একমত নন গয়াল৷ তিনি জানিয়েছেন, চিরাচরিত খুচরো ব্যবসা এবং ই-কমার্স ক্ষেত্রে অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে নীতি প্রণয়ন জরুরি৷