নয়াদিল্লি: করোনা কোপ এবার ওষুধ শিল্পেও৷ ওষুধ তৈরির মূল কাঁচামালের অভাবে ব্যাহত উৎপাদন৷ চিনে তিন মাসের লকডাউনের জেরে ওষুধ উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানি বন্ধ হওয়ায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে ওষুধ শিল্পে৷ আর তাতেই ওষুধের দাম বাড়ছে চড়চড়িয়ে৷
দ্য প্রিন্ট ডট ইন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কাঁচামালের অভাবে অ্যান্টিবায়োটিক থেকে শুরু করে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি জাতীয় ওষুধের দাম বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে৷ অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাজিথ্রোমাইসিন থেকে সাধারণ জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বা ব্যথা কমানোর ওষুধ নিমেসুলাইডের দাম বেড়েছে একধাক্কায় বেড়েছে ৬০ থেকে ১৯০ শতাংশের কাছাকাছি৷
করোনা পরিস্থিতির জেরে এই মুহূর্তে বাজারে বিপুল চাহিদা রয়েছে জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামলের৷ সঙ্গে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের চাহিদার এখন তুঙ্গে৷ কিন্তু, ওই ওষুধ তৈরির রাসায়নিক অমদানি বন্ধ থাকায় তলানিতে ঠেকেছে উৎপাদন৷ জোগান কম থাকায় লাফিয়ে বাড়ছে দাম৷ রয়েছে কালোবাজারির আশঙ্কা৷
পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের শুরুতে প্রতি কেজি নিমেসুলইডের দাম ছিল ৪৫০ টাকা৷ এখন সেই ওষুধের কেজিপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১৩০০ টাকা৷ ১৮৯ শতাংশ বেশি৷ অ্যাজিথ্রোমাইসিনের দাম ৭৬৫০ থেকে ১০ হাজার ৫০০ টাকা দাড়িয়েছে৷ বেড়েছে ৯৬ শতাংশ৷ প্যারাসিটামলের দামের প্রতি কেজি ২৬২ টাকা ছিল বছরের শুরুতেই৷ ৪ মাসের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫০ টাকা৷ দাম বৃদ্ধি হার প্রায় ৬২শতাংশের কাছাকাছি৷