শেয়ার বাজার ব্যাপক চাঙ্গা! কীসের ইঙ্গিত? কী বলছেন মোদি?

নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যাপক চাঙ্গা হল শেয়ার বাজার। যা দেখে টগবগ করে ফুটছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে ইঙ্গিত অত্যন্ত স্পষ্ট। অর্থাৎ কেন্দ্রে ফের পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে…

মোদী Prime Minister Narendra Modi

নিজস্ব প্রতিনিধি: ব্যাপক চাঙ্গা হল শেয়ার বাজার। যা দেখে টগবগ করে ফুটছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে ইঙ্গিত অত্যন্ত স্পষ্ট। অর্থাৎ কেন্দ্রে ফের পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি, এমনটাই দাবি রাজনীতির কারবারিদের একাংশের। ঘটনা হল কেন্দ্রে স্থায়ী সরকার হচ্ছে, এমন আঁচ পেলেই চাঙ্গা হয় শেয়ার মার্কেট। তবে কী সেই আঁচ পেয়ে গিয়েছে স্টক মার্কেট? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে।

কিছুদিন আগে শেয়ার বাজার কিছুটা ধাক্কা খেলেও ফের তা চাঙ্গা হয়েছে বৃহস্পতিবার। এদিন নতুন ইতিহাস গড়েছে সেনসেক্স। নিফটি সূচকও এদিন নতুন রেকর্ড গড়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার একটি সাক্ষাৎকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর বিজেপি যখন নয়া ইতিহাস গড়বে, তখন অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেবে স্টক মার্কেট। মোদি বলেছেন,”অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানাচ্ছি ৪ জুন বিজেপি রেকর্ড সংখ্যক আসনে জয়লাভ করবে। তখন নতুন শিখর ছোঁবে স্টক মার্কেট।”

বৃহস্পতিবার সকালে শেয়ার বাজার খোলার পর থেকেই সেনসেক্সের সূচক ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। দুপুর দুটো নাগাদ সেনসেক্সের সূচক ৭৫ হাজার ৩০০-এর গণ্ডি পেরিয়ে যায়। নিফটিও পেরিয়ে যায় ২২ হাজার ৯০০ এর গণ্ডি। এদিন এক হাজার পয়েন্টের বেশি ওঠে সেনসেক্স। বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধ হওয়ার আগে সেনসেক্সের সূচক ছিল ৭৫,৪১৮। সেই সূত্রে প্রধানমন্ত্রীকে সাক্ষাৎকারে আরও বলতে শোনা গিয়েছে, “দশ বছর আগে কেন্দ্রে যখন প্রথম বিজেপি ক্ষমতায় আসে তখন সেনসেক্সের সূচক ছিল ২৫ হাজার। কিন্তু সেই সূচক এখন পৌঁছে গিয়েছে ৭৫ হাজারে। ভারতীয় অর্থনীতি দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে।

তাই ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২ কোটি ৩ লক্ষ থেকে বেরিয়ে ১৫ কোটি হয়েছে। গত দশ বছরে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা এক কোটি থেকে বেড়ে সাড়ে চার কোটি হয়েছে। এর একটাই কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার গত দশ বছরে কী কী সংস্কার করেছে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে, তা প্রত্যক্ষ করেছেন দেশবাসী। সেই জন্যেই বিনিয়োগে আগের চেয়ে বেশি মাত্রায় আগ্রহী হচ্ছেন মানুষ।”

উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কিছুদিন আগেই শেয়ার বাজার নিয়ে একই কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ৪ জুন ফল প্রকাশের পর দেখা যাবে শেয়ার বাজার এতটাই ঊর্ধ্বমুখী হবে যে, বিনিয়োগকারীরা তখন বিশাল লাভবান হবেন।

সবমিলিয়ে শেয়ার বাজারের এই ব্যাপক উত্থান যখন ব্যাপক খুশি করছে বিজেপিকে, তখন বিষয়টি নিয়ে যথারীতি উদ্বেগ বাড়ছে কংগ্রেস তথা ‘ইন্ডিয়া’ জোটের। কারণ ভোটের ফলাফল, যার ভিত্তিতে কেন্দ্রে সরকার গঠন হয়, তার সঙ্গে যে শেয়ার মার্কেটের যোগসূত্র আছে সেটা সবারই জানা। তাই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। এর যে যথেষ্ট রাজনৈতিক তাৎপর্য আছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *