কলকাতা: গত ৪ মাসে ২০ টাকার পেঁয়াজ পৌঁছে গিয়েছে ১৫০ টাকায়৷ বেপরোয়া পেঁয়াজের দাম৷ মাথায় হাত জনতা৷ বাজারের বাস্তব পরিস্থিতি জানতে অবশেষে ঢুঁ মারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যদুবাবুর বাজার গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ৷
বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন এত দাম? কোথা থেকে আসছে মহার্ঘ পেঁয়াজ? পেঁয়াজের দাম শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ এত স্টক থাকা সত্ত্বেও কেন বেশি দামে বিক্রি? কেন দাম কমছে না? বিক্রিতাদের প্রশ্ন মমতা৷ বাজার পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ফেসবুকে লেখান, ‘‘পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে নাভিঃশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের৷ বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম যখন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা৷ সুফল বাংলার স্টলে পেঁয়াজই মিলছে ৫৯ টাকায়৷ আমাদের সরকার মানুষের স্বার্থ রক্ষায় বদ্ধপরিকর৷ বাজার দর ও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আজ ভবানীপুরে যদুবাবুর বাজারে কিছুক্ষণ৷’’
অন্যদিকে, আজ সোমবার থেকে কলকাতা ও শহরসংলগ্ন ৪ জেলায় ৫৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রির কাজ শুরু করেছে রাজ্য৷ উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার ৯৬৪টি রেশন দোকানে ৫৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে৷ দুই ২৪ পরগনা থেকে হাওড়া ও হুগলির ১০৫টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমেও পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর৷
এই মুহূর্তে ‘সুফল বাংলা’য় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৯ টাকায়৷ জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে এক হাজার রেশন দোকানে পেঁয়াজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ ধাপে ধাপে জেলার রেশন দোকানে পৌঁছে যাবে বিদেশি পেঁয়াজ৷
খাদ্য দপ্তর সূত্রে খরব, রেশন দোকানপিছু ৫ কুইন্টাল পেঁয়াজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে৷ দাম ধরা হয়েছে কেজি প্রতি ৬০ টাকায়৷ শুক্রবার পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মেয়ো রোডের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের তরফে ২০০ টন পেঁয়াজ চাওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু দেওয়া হয় ২০ টন৷তাও আবার পচা৷