নয়াদিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন কর ব্যবস্থা সম্পর্কে বহু ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে, নতুন কর ব্যবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য থাকাটা জরুরি। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে নতুন অর্থবর্ষ। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের শুরু থেকেই দেশে লাগু হতে চলেছে পরিবর্তিত আয়কর নীতি বা Income Tax Return Policy। নতুন কর ব্যবস্থায় এবার থাকছে ডিফল্ট আয়কর কাঠামো, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন, লিভ এনক্যাশমেন্ট, সারচার্জের মতো একাধিক বিষয়।
গত অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২৩-২৪ থেকেই নয়া কর ব্যবস্থা চালু হয়েছে। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন এবং পুরনো, দুই ব্যবস্থায় থাকা করাদাতাদেরই গত অর্থবর্ষের আয়ের নিরিখে ২০২৪-২৫ অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারে রিটার্ন জমা দিতে হবে। রিটার্ন জমা দেওয়া শুরু হচ্ছে আজ, অর্থাৎ ১ এপ্রিল থেকে। তাছাড়া নতুন ও পুরনো ব্যবস্থার মধ্যে লাভ অনুযায়ী যে কোনও একটি বাছতে পারবেন করদাতারা। নয়া কর ব্যবস্থায় করের হার কম। তবে কর ছাড়ের সুবিধাও কম। নয়া ব্যবস্থায় কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ করা হয়েছে। তথ্য বলছে, নয়া কর পদ্ধতিতে প্রাথমিক করছাড়ের সীমা ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি কারও বার্ষিক আয় পাঁচ কোটি টাকার বেশি হলে সারচার্জ বাবদ আর ৩৭ শতাংশ লাগবে না। সেই সারচার্জ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। নয়া ব্যবস্থায় করদাতাদের আর ভ্রমণের টিকিট এবং ভাড়ার রসিদের ধারাবাহিক হিসেব রাখতে হবে না। এছাড়া নয়া নীতিতে ম্যাচিওরিটির পরে কোনও বিমা পলিসি থেকে যে অর্থ পাওয়া যাবে তার উপর কর দিতে হবে গ্রাহককে। এছাড়া সরকারি কর্মচারী নন, এমন কর্মচারীদের লিভ এনক্যাশমেন্টের ক্ষেত্রে করছাড়ের সীমা বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর নেই। ৩-৬ লক্ষ টাকায় ৫%। ৬-৯ লক্ষ টাকায় ১০%। ৯-১২ লক্ষ টাকায় ১৫%। ১২-১৫ লক্ষ টাকা আয়ে ২০%। ১৫ লক্ষ টাকার বেশি আয়ে ৩০%। একইসঙ্গে পয়লা এপ্রিল থেকে নতুন আর্থিক বছরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এনপিএস, ইপিএফও এবং ফাস্ট্যাগের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু পরিবর্তন হতে চলেছে। যা সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।