নয়াদিল্লি: মোদি সরকারের কোষাগারে অর্থের ঘাটতি? অর্থ জোগাড়ে এবারে বিদেশ থেকে ঋণ নিতে চলছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার৷ বিদেশ থেকে বন্ডের মাধ্যমে ঋণ দিবে কেন্দ্র৷ কিন্তু, হঠাৎ কেন এই পদক্ষেপ?
সিএমআইই সমীক্ষা জানাচ্ছে, মোদির জমানায় রেকর্ড হারে বেসরকারি বিনিয়োগ কমেছে৷ বিদেশ থেকে ঋণ নিতে মোদি সরকার এবারে বন্ড ছাড়ছে বিদেশে৷ সরাসরি বন্ডে এই ঋণ নিতে আন্তর্জাতিক লগ্নিপুঁজির সঙ্গেও জোট বাঁধতে চাইছে সরকার৷ এটা সিদ্ধান্ত ঝুঁকি বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদ মহলের অনেকেই৷
বাজেট ঘোষণার পর শুধু পরিকাঠামো নির্মাণে পাঁচ বছরে প্রয়োজন হবে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা৷ কিন্তু অর্থের সংস্থান কীভাবে হবে? বিনিয়োগের সূত্র কী হবে? তেমনই, বাজেটে বলা হয়েছে বেসরকারি বিনিয়োগই হবে চালিকাশক্তি৷ কিন্তু তলানিতে চলে যাওয়া সেই বিনিয়োগই বা হঠাৎ কেন বাড়বে, তারও কোনও ব্যাখ্যা নেই বাজেটে৷ সরকার ঘোষিত প্রকল্পের অর্থের জোগানে দেশে প্রথমেই প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করে পুরো অবাধ করে দেওয়া হয়েছে৷ বাজেটে বিমা মধ্যস্থতাকারীদের জন্য ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী৷
অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্টে দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে চিনের মডেল অনুসরণের কথা বলা হয়েছে৷ তবে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি ঋণ নিতে যেভাবে ঝাঁপিয়েছে মোদি সরকার তা চিনের মডেল নয়, তা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পথ৷ যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ তা অনেকেরই স্মরণে আছে৷ মোদি সরকারের তরফে বাজেটে আর্থিক ঘাটতি কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে৷ বাজেটে প্রস্তাবিত আর্থিক ঘাটতির হার হলো ৩.৩ শতাংশ৷ গত আর্থিক বছরে এই আর্থিক ঘাটতির হার ছিল ৩.৪ শতাংশ৷