নয়াদিল্লি: তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে গোটা দেশ জুড়ে। নিয়ম কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। বেশ কিছু জায়গায় খোলা হয়েছিল মদের দোকান। লম্বা লাইন দেখা গেছে দোকানের সামনে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার রব উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবুও রাজ্যগুলির কাছে মদ বিক্রি কেন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়? কী বলছে গবেষণা?
মদের দোকানের সামনে লম্বা লাইন। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার লকডাউনে দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকলেও লকডাউন ৩.০-এর ক্ষেত্রে জোনের ভিত্তিতে নিয়ম শিথিল করেছে কেন্দ্র। করোনা পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে মদবিক্রির রমরমা দেখে ইতিমধ্যেই সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন নেটিজেনদের একাংশ। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধেয় মদ বিক্রিতে নয়া নির্দেশ জারি করেছে দিল্লি। অতিরিক্ত ৭০ শতাংশ 'স্পেশাল করোনা কর' চাপিয়েছে তারা। রাজ্যের অর্থনীতি চাঙ্গা করতেই এহেন সিদ্ধান্ত বলে সংবাদসূত্রে প্রকাশ।
মদ বিক্রি নিয়ে যতই সমালোচনা হোক, রাজ্যের ঘরে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব ঢুকছে এর ফলে, এমনই দাবি সূত্রের। পরিসংখ্যান বলছে, তৃতীয় দফার লকডাউনে প্রথমদিনে মদ বিক্রি থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজস্ব পেয়েছে ৫ কোটি টাকা৷ কর্নাটকের ঘরে ঢুকেছে ৪৫ কোটি টাকা৷ রাজস্থানের রাজস্বের পরিমাণ ৫৯ কোটি টাকা৷ অন্ধ্রপ্রদেশের ঘরে ঢুকেছে ৬৮ কোটি টাকা৷ তবে সবার শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। একদিনেই ওই রাজ্যে রাজস্বের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 'গত অর্থবর্ষে শুধুমত্র মদি বিক্রিতে প্রতি মাসে গড়ে ২,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে রাজ্য সরকার। চলতি অর্থবছরে মাস পিছু সেই গড় ৩,০০০ কোটি টাকা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।' ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় করেছে উত্তরপ্রদেশই। ২৫,১০০ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে কর্নাটক ( ১৯,৭৫০ কোটি টাকা), মহারাষ্ট্র (১৫,৩৪৩.০৮ কোটি টাকা), পশ্চিমবঙ্গ (১০,৫৫৪.৩৬ কোটি টাকা), তেলঙ্গনা (১০৩১৩.৬৮ কোটি টাকা)। এই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতেই রাজ্যগুলির কাছে মদ বিক্রির সিদ্ধান্ত কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন গবেষকরা। এদিকে 'স্পেশাল করোনা কর' হিসেবে অতিরিক্ত ৭০ শতাংশ কর চাপানোর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ।