মাত্র ৫ হাজার বিনিয়োগে PPF-এ মিলবে ১৭ লাখ টাকা! গুজব নয়, পড়ুন বিস্তারিত

মাত্র ৫ হাজার বিনিয়োগে PPF-এ মিলবে ১৭ লাখ টাকা! গুজব নয়, পড়ুন বিস্তারিত

imagesmissing

নয়াদিল্লি: আপনার ভবিষ্যতকে আর্থিকভাবে  সুরক্ষিত করতে চান? তাহলে যত শীঘ্র সম্ভব বিনিয়োগ করুন পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ)-এ৷

১৯৬৮ সালে ন্যাশনাল সেভিংস অর্গানাইজেশন শুরু করেছিল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ৷ এটি অবসর কেন্দ্রীক পরিকল্পনা৷ পর্যায়ক্রমে পিপিএফ-এ দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় লাভ অনেক বেশি৷ বিশেষজ্ঞরা বলছে, যত দীর্ঘ সময় অর্থ সঞ্চিত থাকে, তত দ্রুত তা বৃদ্ধি পায়৷   

হিসাব বলছে, আজ থেকে কোনও ব্যক্তি যদি প্রতি মাসে পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করা শুরু করেন এবং টানা ১৫ বছর বিনিয়োগ করেন, তাহলে ম্যাচুরিটির সময় থোক ১৭ লক্ষ টাকা পাবেন তিনি৷ বর্তমানে ৭.১ শতাংশ হারে পিপিএফ অ্যাকাউন্টে সুদ দেওয়া হয়৷ ম্যাচুরিটি হওয়ার পর আগামী পাঁচ বছরের জন্য ফের অ্যাকাউন্টের মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে৷ তবে অ্যাকাউন্ট ম্যাচিউর হওয়ার এক বছরের মধ্যেই এই মেয়াদ বাড়াতে হবে৷

দেখা নেওয়া যাক সমীকরণ-  বিনিয়োগ প্ল্যাটফর্ম গ্রোউ-এর মতে, এই সূত্রটি আমানতের পরিমাণ, সুদ ইত্যাদি গণনা করতে ব্যবহার করতে পারেন৷ এই ফর্মুলাটি হল- F = P [({(1+i) ^n}-1)/i]  এখানে F হল পিপিএফ এর ম্যাচুরিটি৷ P হল বার্ষিক কিস্তি,  I হল সুদের হার এবং N হল মোট বছর৷ F= 60,000 [({(1+7.1) ^15}-1)/7.1]   তবে অনেক সময়ই এই পদ্ধতিতে পিপিএফ অ্যাকাউন্টে সুদের হার এবং রিটার্ন হিসাব করা একটু কঠিন হয়ে যায়৷ এই হিসাবকে সহজ করতে পিপিএফ ক্যালকুলেটর নিয়ে এসেছে গ্রোউ৷ এই ক্যালকুলেটরে পিপিএফ-এর বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে৷ যেমন কত বছরের জন্য বিনিয়োগ করা হয়েছে৷ মোট বিনিয়োগের পরিমাণ কত, ইত্যাদি৷ তাহলেই সহজে মিলে যাবে হিসাব৷

পিপিএফ-এর আরও একটি সুবিধা আছে৷ ম্যাচুরিটির পরও এই অ্যাকাউন্ট সক্রিয় থাকে৷ এর জন্য নতুন করে বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না৷ ম্যাচুরিটির পরেও বিনা শুল্কে এই অ্যাকাউন্ট থেকে পাওয়া যায় সুদ৷ পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রকল্প ২০১৯-এর নয়া নিয়মে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি ন্যূনতম ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা বা মাসে ১২,৫০০ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন৷ আয়কর (আইটি) আইনের ৮০সি ধারা অনুযায়ী দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মিলবে কর ছাড়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *