নয়াদিল্লি: ইএমআই স্থগিত রাখার ঘোষণার পরেও কেন ব্যাংক বাড়তি সুদ আদায় করছে? ইএমআই স্থগিতের পর ব্যাংকের সুদ আদায় মামলা কেন্দ্র ও ব্যাংকে কাঠগড়ায় তুলে তুলোধনা করল সুপ্রিম কোর্ট৷ এনপিএতে হাজার হাজার কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু কয়েক মাস এইএমআইয়ে ছাড় দেওয়া যাচ্ছে না কেন? কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত৷
আজ সকালে ইএমআই স্থগিত মামলায় শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ রেখেছে৷ আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, যখন ইএমআই স্থগিত রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, তখন কেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত সুদ চাপানো হচ্ছে গ্রাহকদের ওপর? এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, এই বিষয়টি শুধুমাত্র ব্যাংক ও গ্রাহকদের মধ্যের বিষয়৷ পাল্টা জবাব দিয়েছে আদালত৷ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্র এইভাবে নিজেদের দায় অস্বীকার করতে পারে না৷
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ব্যাঙ্কগুলি এই মুহূর্তে হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসান করছে৷ যাঁদের কোটি কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সেই সমস্ত ঋণ মেটাচ্ছে না৷ কিন্তু সাধারণ জনতার ইএমআই স্থগিত ঘোষণা হওয়ার পর বাড়তি সুদ চাপানো হচ্ছে৷ সেটা কখনও কাম্য নয়৷ ব্যাংকের তরফে জানানো হয়, এই মুহূর্তে গ্রাহকদের সেভিংস একাউন্টে সুদ দেওয়া হচ্ছে৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ইএমআই স্থগিত রাখার উপর সুদের নেওয়ার বিষয়টি আপাতত যেন সুপ্রিম কোর্ট কোন নির্দেশনা দেয়৷ কেননা, ব্যাংকগুলি খুব সুবিধাজনক অবস্থায় নেই৷ ফলে আগামী তিন মাস বাজার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে বলেও জানিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ৷
কেন্দ্রীয় সরকার ও আরবিআইকে গোটা বিষয় খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলেছে আদালত৷ কেন্দ্র রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকগুলিকে আলোচনা করে যতটা সমস্যা মেটাতেও বলা হয়েছে৷ আলোচনায় বসে যদি তা সমাধান করা যায়, তা নিশ্চিত করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ আগামী অগস্টের প্রথম সপ্তাহে মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে৷