কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে মু্দ্রাস্ফীতিতে নয়া রেকর্ড৷ এক মাসের মধ্যে আড়াই শতাংশ বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফিতীতে৷ গত এপ্রিল মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১০.৪৯ শতাংশ৷ এ বছর অসংশোধিত মুদ্রাস্ফিতীর হার ১২.৯৪ শতাংশ৷
আরও পড়ুন- ভাঙন রখতে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে শুভেন্দু, বিকেলে যাবেন রাজভবন
লকডাউন ও পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম কারণ বলেই উল্লেখ করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ৷ করোনা পরিস্থিতি শুধু স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপরেই আঘাত হানেনি, ধাক্কা লেগেছে অর্থনীতির উপরেও৷ বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউনের জেরে মে মাসে পাইকারি বাজারে মুদ্রাস্ফীতির হার ১২.৯৪ শতাংশ৷ আবার কোভিডের জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহও মার খেয়েছে৷ তাতে দাম বেড়েছে জিনিসপত্রের৷ যার জেরে পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হয়ে উঠেছে৷
মুদ্রাস্ফীতি প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলেন, মুদ্রাস্ফীতির জন্য সরাসরি দায়ী অবশ্যই পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি৷ দ্বিতীয়ত কোভিড পরিস্থিতিতে ব্যহত প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ৷ এর পিছনে দুটি কারণ রয়েছে৷ প্রথমত, কোভিডের জন্য ট্রাক ড্রাইভার বা অন্যান্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না৷ আর দ্বিতীয়ত হল, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরবরাহ আনার খরচ বেড়েছে৷ অর্থাৎ ট্রাক চালাতে যে ডিজেল প্রয়োজন, সেই ডিজেলের দাম বেড়ে গিয়েছে৷ এই দুটি কারণে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় দাম বাড়ছে৷ উল্লেখ্য, রাজ্যে পেট্রোল প্রায় ১০০ ছুঁইছুঁই৷ ডিজেল পেরিয়ে গিয়েছে ৯০-এর কোটা৷
আরও পড়ুন- কেরামতি! টিউবওয়েল পাম্প করে নিজেই জল খেল ছোট্ট হাতি, ভাইরাল ভিডিয়ো
পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতিতে সরকারের খরচ বেড়ে গিয়েছে৷ এই খরচ কোথা থেকে আসবে? কিছুদিন আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ সরকার নিয়েছিল৷ এ টাকা দেওয়ার জন্য নোট ছাপিয়েছে আরবিআই৷ এর ফলে নগদের জোগান বেড়ে গিয়েছে৷ এটাও মূল্যবৃদ্ধির কারণ৷ তবে কোভিড পরিস্থিতিতেও শেয়ার বাজার ভালো রয়েছে৷ এর কারণ হল বিদেশীরা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করছে৷ বিদেশীরা ডলারে আমাদের শেয়ার কিনবেন৷ কিন্তু সরাসরি তে সম্ভব নয়৷ এর জন্য আরবিআই-এর কাছে গিয়ে ডলারের পরিবর্তে টাকা নিচ্ছে৷ ফলে টাকার যোগানও বাড়াতে হচ্ছে৷