কলকাতা: উন্নয়নশীল দেশগুলির অর্থনীতিতে আয়ের বন্টন ও বাজারের বিকৃতির ফলে পুঁজির কেন্দ্রীভবন কীভাবে হচ্ছে, তার বিশ্লেষণ করে বই লিখলেন ড: অসীম দাশগুপ্ত। প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থা ম্যাকমিলান নেদারল্যান্ড থেকে প্রকাশ করেছে রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর এই বইটি। বইটির ভূমিকা লিখেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ্ অমর্ত্য সেন। প্রাককথনে বইটির সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন করেছেন বিশ্বব্যাঙ্কের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনীতিবিদ নোবেলজয়ী জোসেফ স্টিগলিৎজ্। উভয়েই বইটির গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণের কথা বলেছেন। গাণিতিকভাবে অর্থনীতির কঠিন তত্ত্বকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন এই গবেষণালব্ধ বইটিতে। এই বিষয় নিয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস্ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এম আই টি)-তে তিনি গবেষণা করেছিলেন গত শতকের সত্তরের দশকের শেষদিকে। জানালেন, দেশে ফিরে আসার পর বামফ্রন্ট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজে যুক্ত হয়ে যাওয়ায় এই গবেষণাপত্রটি বই আকারে প্রকাশের চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার কাজ করে উঠতে পারেননি। অবশেষে বই হয়ে বেরিয়েছে ড. অসীম দাশগুপ্তের লেখা গবেষণাপত্র – Income Distribution, Market Imperfections and Capital Accumulation in a Developing Economy. ১৯৮৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দীর্ঘ ২৫বছর পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে বিকল্প অর্থনৈতিক নীতির রূপরেখা নির্ধারণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। অন্যদিকে, ২০০০সালে থেকে ২০১০ পর্যন্ত দেশের করকাঠামো পুনর্বিন্যাসের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনি। এই কমিটির নেতৃত্বে দেশে মূল্যযুক্ত কর (ভ্যাট) চালু হয়। অন্যদিকে, পণ্য পরিষেবা কর (জি এস টি)-র প্রাথমিক খসড়া এই কমিটিই করেছিল, যা পরে বিকৃতভাবে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার রূপায়ণ করে। এই দুই বিষয়েও তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি লেখার কাজ শুরু করেছেন বলে জানালেন।
বিকৃত অর্থনীতি নিয়ে বই লিখলেন অসীম দাশগুপ্ত
কলকাতা: উন্নয়নশীল দেশগুলির অর্থনীতিতে আয়ের বন্টন ও বাজারের বিকৃতির ফলে পুঁজির কেন্দ্রীভবন কীভাবে হচ্ছে, তার বিশ্লেষণ করে বই লিখলেন ড: অসীম দাশগুপ্ত। প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থা ম্যাকমিলান নেদারল্যান্ড থেকে প্রকাশ করেছে রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর এই বইটি। বইটির ভূমিকা লিখেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ্ অমর্ত্য সেন। প্রাককথনে বইটির সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন করেছেন বিশ্বব্যাঙ্কের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনীতিবিদ নোবেলজয়ী জোসেফ স্টিগলিৎজ্।