নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি বিশ্বে অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে, এই অনুমান বিশেষজ্ঞরা অনেক আগেই জানিয়েছেন। সোনা আমদানি গত মাস পর্যন্ত যেভাবে কমছে, তা গত সাড়ে ছ'বছরের হিসেবে রেকর্ড। সূত্রের খবর, গত মার্চ মাসে প্রায় ৭৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে সোনা আমদানি।
সোনা আমদানিতে গোটা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে ভারত। প্রতি বছর কয়েকশো টন সোনা আমদানি করে ভারত। সংবাদ সংস্থার রয়টার্স সূত্রে জানা গেছে, যেখানে এক বছর আগেও একমাসে ৯৩.২৪ টন আমদানি করেছে এই দেশ, সেখানে গত মার্চ মাসে সোনা আমদানি হয়েছে মাত্র ২৫ টন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই কমছে এই পরিসংখ্যান। এর পেছনে লকডাউনের প্রভাবও রয়েছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞমহলের। তাছাড়া সোনা আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক বৃদ্ধিকেও এই প্রসঙ্গে তুলে ধরছেন অনেকে। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে আমদানি শুল্ক ২.৫% বৃদ্ধি করেছে সরকার। বাজেটে এই নির্দেশ অনুসারে সোনা আমদানি শুল্ক বেড়ে হয়েছে ১২.৫ শতাংশ। এর ফলে চাহিদা কমেছে সোনার।
আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির ফলে সোনার চাহিদা কমায় গয়না শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল গতবছর। অল ইন্ডিয়া জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান শঙ্কর সেন বলেছিন, 'আমদানি শুল্ক বেড়ে যাওয়ার ফলে গয়না শিল্পের ক্ষেত্রে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। গয়নার ব্যবসা থেকেও সরে যাচ্ছেন বহু ব্যবসায়ী। ভারতীয় হস্তশিল্পকে বিশ্বের দরবারে আরও বেশি করে তুলে ধরার কথা যখন কেন্দ্র সরকার বলছে, তখন সরকারি নীতির ফলেই প্রশিক্ষিত কর্মীরা এই পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।' সেই পরিস্থিতি যেন আরও কিছুটা উস্কে দিল করোনার জের। জল্পনা শুরু হয়েছে অর্থনৈতিক মন্দা নিয়েও।