নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস এবং লকডাউন সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে বড়সর প্রভাব বিস্তার করেছে। বিশ্বের 'সুপার পাওয়া'র আমেরিকা এবং চিন প্রায় ধরাশয়ী। ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন – ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে। স্বজন হারানোর বেদনায় কাঁদছে ইউরোপ। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার – IMF, সারা বিশ্ব জুড়েই এক ভয়ানক মন্দার পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিয়েছে। কিন্তু, এই মন্দার পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের বৃদ্ধি প্রভাবিত হবে। তবে, অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত তাবড় দেশগুলির বৃদ্ধি শুধু কমেই যায়নি, নেগেটিভ বৃদ্ধির দিকে গিয়েছে অনেকে। তবে, আশার কথা এই যে, ভারত এবং চিন এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বৃদ্ধির দিতে এগিয়েছে। স্বল্প হলেও তা বৃদ্ধি। G-20 গোষ্ঠী ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে ভারতের বৃদ্ধি সব থেকে বেশি।
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া'র গভর্নর শক্তিকান্ত দাস শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, চলতি বছরে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কৃষি উপকৃত হলে অর্থনীতির উপর চাপ কমবে। মানবিক স্বার্থের কথা রিজার্ভ ব্যাংক কাজ করবে। এই লকডাউনের সময় অনেক ব্যাংকে নগদ টাকা থাকছে না বলে অনেকেই অভিযোগ করেছে। সেক্ষেত্রে, ইতিমধ্যেই ব্যাংকের নগদ টাকার যোগান বাড়ান হয়েছে। করোনার সঙ্গে যুদ্ধে সামনের সারির যোদ্ধাদের (ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী ) দের কুর্নিশ করেছেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, জিডিপির ৩.২ শতাংশ নগদের যোগান দেওয়া হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাংকের মতে ভারতে সম্ভাব্য বৃদ্ধি'র হার ১.৯ শতাংশ। তবে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.৪ শতাংশ। রিজার্ভ ব্যাংক ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কারণটা খুবই স্পষ্ট, দেশের কর্মসংস্থান এই শিল্পক্ষেত্রের উপরেই নির্ভরশীলতা রাখে। প্রয়োজন পড়লের এই প্যাকেজ আরও বাড়তেই পারে। আবাসন শিল্পে ১০ হাজার কোটি'র প্যাকেজ ঘোষিত।