করোনা কোপে ৩০ বছর পিছিয়ে যেতে পারে ভারত: সমীক্ষা ফিচে’র

করোনা কোপে ৩০ বছর পিছিয়ে যেতে পারে ভারত: সমীক্ষা ফিচে’র

imagesmissing

নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতির জেরে জেরবার গোটা দেশ৷ স্তব্ধ গোটা বিশ্ব৷ করোনার পরিস্থিতির জেরে দেশের অর্থনীতির পতন মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই তিন মাসের জন্য ইএমআই মুকুব করার ঘোষণা করেছে আরবিআই৷ কমানো হয়েছে রোপে রেট৷ কিন্তু করোনার জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতীয় অর্থনীতির হাল ও দেশের জাতীয় উৎপান নিয়ে চূড়ান্ত আশঙ্কার পূর্বাভাস দিল মুডি’জ কর্পোরেশন নামে ওই মার্কিন সংস্থার অধীনস্থ মুডি’জ ইনভেস্টর সার্ভিস৷ ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৩০ বছরে সর্বনিম্ন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আর্থিক মূল্যায়নকারী সংস্থা ফিচে৷

করোনার কোপে এবার ভারতীয় অর্থনীতি এক ধাক্কায় ৩০ বছর পিছিয়ে যেতে পারে ভারতীয় অর্থনীতি৷ চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার নামতে পারে ২ শতাংশের কাছাকাছি৷ ভারতে ৩০ বছরে সর্বনিম্ন আর্থিক বৃদ্ধির চরম পূর্বাভাস দিয়েছে আর্থিক মূল্যায়নকারী সংস্থা ফিচে৷

ভারতের আর্থিক অগ্রগতির হার বেশ খানিকটা কমতে পারে বলে আগেই অনুমান করেছিলেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ৷ করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে ভারতের জাতীয় উৎপাদন আড়াই থেকে তিন শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে বলে আগেই অনুমান করেছিলেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ৷ কিন্তু, আর্থিক বৃদ্ধির হার কমার পূর্বাভাস কেন্দ্র করে নতুন করে চিন্তা ফেলে দিয়েছে মধ্যবিত্ত জনতাকে৷ তবে এখনই হতাশ হয়ে পড়ার কিছু নেই৷

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারা পৃথিবীতে উৎপাদনের হার এক থেকে চার শতাংশ পর্যন্ত নেমে যেতে পারে৷ অপেক্ষাকৃতভাবে ভারত বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে মনে করছেন তাঁরা৷ কেননা ভারতের অর্থনীতি পুরোপুরি কৃষিনির্ভর৷ ফলে কৃষি উৎপাদনের ওপর নির্ভর করবে ভারতীয় অর্থনীতির পরবর্তী অবস্থান৷ চলতি বছর বৃষ্টিপাত যদি ঠিকঠাক হয় তাহলে করোনা প্রভাব থেকে ভারতের অর্থনীতির গতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ ভারতের অর্থনীতির চাকা একমাত্র কৃষি ক্ষেত্র বাঁচিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা৷

যদিও অর্থনৈতিক সমীক্ষা সংস্থা ফিচের দাবি, ভারতের জাতীয় বৃদ্ধির হার কমপক্ষে ২% নামতে পারে৷ করোনা ধাক্কায় ৩০ বছর পিছিয়ে যেতে পারে ভারত! গত ২৭ মার্চ মুডি’জ কর্পোরেশন নামে ওই মার্কিন সংস্থার অধীনস্থ মুডি’জ ইনভেস্টর সার্ভিস জানিয়েছিল, ভারতের জিডিপি ২০২০ সালে ৫.৩ শতাংশ থেকে ২.৫ শতাংশ কমতে পারে৷ গত ফেব্রুয়ারিতে মুজি’জ তার সমীক্ষা রিপোর্টে জানিয়েছিল, মেরেকেটে ভারতের জিডিপি ৫.৪ শতাংশ থেকে ৫.৩ শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে৷ কিন্তু, মার্চে করোনা পরিস্থিতি দেখে সেই বৃদ্ধির হার আরও ২.৫ শতাংশ কমতে পারে বলেও দেওয়া হয়েছে পূর্বাভাস৷ দেশের জাতীয় বৃদ্ধির হার যদি ২.৫ শতাংশ পড়ে যায়, তাহলে তার ফল ভুগতে হবে আমজনতাকেই৷ বলছে বাজার বিশেষজ্ঞদের একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *