নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের ২০ লক্ষ কোটি টাকা প্রকল্পের প্রথম দফা ঘোষণা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন তিনি৷ এমনকী, এমএসএমই-র সংজ্ঞা বদলের কথাও বলেছেন অর্থমন্ত্রী৷ নতুন নিয়ম অনুযায়ী কারা পড়ছে ক্ষুদ্র, ছোট বা মাঝারি শিল্পের আওতায়? বার্ষিক কত টাকা লেনদেন হলে বিনা শর্তে পাওয়া যাবে MSME ঋণ? বিস্তারিত জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷
মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্পের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রকল্প অনুযায়ী কোন খাতে, কী বরাদ্দ করছে সরকার, তা তিনদিন ধরে ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বুধবার প্রথম দফায় এমএসএমই-র জন্য ৬টি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এদিন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ছ’টি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী৷ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ঋণের জন্য তিন লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেন তিনি৷ চার বছরের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী৷ বার্ষিক ১০০ কোটি টাকার লেনদেন হলে, তবেই মিলবে এই ঋণ৷ জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন৷ এক্ষেত্রে এই ঋণের কোনও গ্যারান্টি লাগবে না৷ ৪৫ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উপকৃত হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ কিন্তু, বার্ষিক ১০০ কোটি টাকার কম লেনদেনের ক্ষেত্রে আদৌও মিলবে কোনও ঋণ? যদিও তা স্পষ্ট করা হয়নি৷
পাশাপাশি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের নয়া সংজ্ঞা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এর আগে উৎপাদন ও পরিষেবার ভিত্তিতে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের শর্ত আলাদা আলাদা হতো। কিন্তু নয়া নিয়ম অনুসারে, উৎপাদন ও পরিষেবার কোনও বিভাজন রাখা হয়নি৷ উভয় শ্রেণির সংস্থাই ১ কোটি লগ্নি ও ৫ কোটি লেনদেন করলে ক্ষুদ্র শিল্প, ১০ কোটি লগ্নি ও ৫০ কোটি লেনদেন করলে ছোট শিল্প এবং ২০ কোটি লগ্নি ও ১০০ কোটি লেনদেন করলেই মাঝারি শিল্পের মর্যাদা পাবে। সারা বছরের লগ্নি ও লেনদেনের হিসেবের ওপরই এই বিভাজন করা হয়েছে৷
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩ লক্ষ কোটি টাকা৷ এর ফলে উপকৃত হবেন ৪৫ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ইউনিট, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি৷ ১০০ কোটি টাকা লেনদেন হলেই এই ইউনিটগুলি ঋণ পাবে বলে জানানো হয়েছে৷ ৪ বছরের জন্য দেওয়া হবে ঋণ৷ ১ বছরের সুদও স্থগিত রাখা হবে এক্ষেত্রে৷
নতুন প্রকল্প অনুসারে, সঙ্কটের মুখে পড়া ঋণগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকেও দেওয়া হবে সুবিধা। তাদের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। এছাড়াও ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত টেন্ডারের ক্ষেত্রে গ্লোবাল টেন্ডার লাগবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এর ফলে ছোট সংস্থাগুলিও উপকৃত হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও এনপিএ-র আওতাধীন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকেও দেওয়া হবে ঋণ। ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।