নয়াদিল্লি: কালো টাকার রমরমা রুখতে নোট বাতিলের পর এবার গচ্ছিত গোপন সোনায় নজর মোদি সরকারের৷ তাই এবার সরকার নির্ধারিত সোনার পরিমাণের অধিক সোনা কারও কাছে গচ্ছিত থাকলে তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিতে হতে হবে৷
সূত্রের খবর, দ্রুত এই সোনা উদ্ধারের জন্য আয়কর দপ্তর তরফ গোল্ড অ্যামেনেস্টি প্রকল্প চালু করবে৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই দেশজুড়ে কালো টাকাকে সাদা করতে জমতে থাকা পাহাড় প্রমাণ গচ্ছিত সোনার হিসাব কষতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মধ্যে সদ্য একটি বৈঠকও হয়েছে বলে খবর৷
নয়া এই প্রকল্প চালু হলে সোনার সঞ্চয়, সংরক্ষণ ও ব্যাঙ্কের লকারে রাখা সোনার পরিমাণ নির্ধারণ করবে গোল্ড বার্ড নামে একটি সরকারি কমিটি৷ যার কাজ হবে একটি পরিবার, সংস্থা, সংগঠন এবং ট্রাস্টের কাছে কত পরিমাণ বৈধ সোনা রয়েছে তা নির্ধারণ করা৷
পাশাপাশি কোনও সংস্থা, সংগঠন, ট্রাস্টের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম ধার্য হবে৷ অপরদিকে নজরে আসতে চলেছে ব্যাঙ্কের লকারও৷ এযাবৎ লকারে সোনা রাখলে ভাড়া বাবদ বছরে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা কেটে নেওয়া হত তবে নতুন প্রকল্প চালু হলে লকারে কি কি জিনিস রাখা হচ্ছে সরকারিভাবে ব্যাঙ্ককে তার তালিকা তৈরি করতে হবে৷ এছাড়াও রয়েছে দেশের মন্দির গুলিতে জমে থাকা অগুনতি সোনা গয়না ৷ যার হিসাব মেলা কার্যত দুষ্কর৷
তাই বেহিসাবি এই সমস্ত গয়নার হিসেব পেতে সরকার নির্ধারিত সোনার অধিক পরিমাণ সোনা কারও কাছে থাকলে সেই অতিরিক্ত সোনার ক্ষেত্রে কর ধার্য করা হবে৷ সেক্ষেত্রে মোট রশিদহীন সোনার সম্পদের সেই তারিখের সোনার মূল্যের উপর কর ধার্য করা হবে৷ তবে কত শতাংশ ট্যাক্স তা এখনও স্পষ্ট নয়৷তবে বিবাহিতা মহিলাদের বিবাহসূত্রে এবং পারিবারিক উত্তরাধিকারে প্রাপ্ত সোনার ক্ষেত্রে এই কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে ৷ জানা গেছে বেসরকারি ভাবে ভারতে সঞ্চিত সোনার পরিমাণ ২০ হাজার টনের বেশি৷
২০১৬ সালে নোটবাতিলের সিদ্ধান্তের পরেও দেশকে পুরোপুরি কালো টাকা মুক্ত করতে পারেননি কেন্দ্রীয় সরকার৷ অনেকেই কালো টাকাকে সাদা করতে সেই টাকায় গোপনে প্রচুর সোনা কিনে গচ্ছিত রাখেন৷ সেই বেহিসাবি সোনার হদিস পেতেই এই নয়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷