জানুয়ারি মাসে পাইকারি মুদ্রাস্ফিতির পরিমাণ ছিল ২.৭৬ শতাংশ। গত ডিসেম্বর মাসে এই পরিমান ছিল ৩.৮ শতাংশ। উৎপাদিত পণ্যের ও তেলের দাম সামান্য বাড়ার জন্যই মুদ্রাস্ফিতি কমেছে। মুদ্রাস্ফিতির নতুন হার ২.৭৬ শতাংশ দাঁড়িয়েছে৷ পাইকারি বাজার সূচকের উপর ভিত্তি করে এই পাইকারি মুদ্রাস্ফিতি নির্ধারিত হয়৷
সামগ্রিক ভাবে মুদ্রাস্ফিতি কমে এলেও খাদ্য দ্রব্যের মুদ্রাস্ফিতি ১.৮৪ শতাংশ বেড়েছে। তার আগে এই পরিমাণটা ছিল ০.০৭ শতাংশ৷ সূত্র বলছে, মুদ্রাস্ফিতির এই পরিমাণ গত ১৯ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সুদ নীতিতেও বদল আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে কয়েক দিন আগে রেপো রেট কমায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ০. ২৫ শতাংশ কমে রেপো রেট হল ৬. ২৫ শতাংশ। এই হারে অন্য ব্যাঙ্ককে টাকা ধার দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষের মধ্যে এটা ছিল আরবিআইয়ের দ্বিতীয় সুদ নীতি। নতুন গর্ভনর শক্তিকান্ত দাসের আমলে এটাই প্রথম ঋণ নীতি। গত ডিসেম্বর মাসে নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। এর আগে এই পদে ছিলেন উর্জিত প্যাটেল। অক্টোবর- ডিসেম্বরে ঋণ নীতিতে বদল করেনি আরবিআই। এবার সেটা হল। বদলের পর রিভার্স রেপো রেটের পরিমাণ দাঁড়াল ৬ শতাংশের আশপাশে। এই বদলের পর গাড়ির ঋণের ইএমআই কমতে পারে বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে মুদ্রাস্ফিতি কমে আসায় ঋণ নীতিতে আরবিআই আরও বদল আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷