নয়াদিল্লি: প্রয়াত কেন্দ্রীয় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ তাঁর প্রয়াণে দেশের অর্থনীতিতে গভীর শূন্যতা দেখা দিয়েছে৷ কারণ, তিনি একাধারে যেমন ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ, তেমনি ছিলেন দক্ষ আইনজীবী৷ ছিলেন সুবক্তা৷ পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদও বটে৷ কিন্তু, তাঁকে নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি৷
বিজয় মালিয়ার দেশছাড়া নিয়ে জড়িয়েছিলেন বিতর্কে৷ সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল গান্ধী অভিযোগ তুলেছিলেন, জেটলির সঙ্গে মালিয়া বৈঠক করেছিলেন৷ গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর রাহুল গান্ধী সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, দেশ ছাড়ার আগে বিজয় মালিয়া অরুণ জেটলির সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছিলেন মালিয়ারা৷ ঋণখেলাপি মামলায় বিজয় মালিয়া দেশ ছাড়ার আগে কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন৷
এর পাল্টাও অবশ্য জবাব দেন অরুণ জেটলি৷ কিন্তু অরুণ জেটলি জবাবে সন্তুষ্ট না হয় রাহুল গান্ধী নিজেই জানান, মালিয়ার দেশ ছাড়ার পেছনে অরুণ জেটলির হাত ছিল৷ রাহুল গান্ধী অভিযোগ ছিল, বিজয় মালিয়া দেশ ছাড়ার আগে অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক করেন৷
একাধিকবার বৈঠক সাক্ষী ছিলেন কংগ্রেসের এক নেতা৷ রাহুলের অভিযোগ ছিল, এমন একজন দেশ ছেড়ে পালারেন, কেন জেটলি তাঁকে সাহায্য করেছিলেন, তা প্রকাশ্যেই জানাতে হবে তাঁকে৷ কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০১৭ সালের মার্চে সংসদের সেন্ট্রাল হলে মালিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন জেটলিষ এরপর ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপি মামলায় জড়িয়ে পড়েন মালিয়া৷ মালিয়ার সঙ্গে অরুণ জেটলির ৫-৭ মিনিট বৈঠক হয়৷ ওই বৈঠকের পরই ৩ মার্চ দেশ ছাড়ে মালিয়া৷
একই দাবি করেন ঋণখেলাপী বিজয় মালিয়া৷ লন্ডনের আদালতে দাঁড়িয়ে মালিয়া জানান, সমঝোতা করতে চেয়ে তিনি অরুণ জেটলির সঙ্গে কথা বলেছিলেন৷ কিন্তু কোন রফা না মেলায় তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন৷ এই বিতর্কে এরপর মালিয়া দাবি অস্বীকার করেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ ফেসবুকে লিখেন, বিজয় মালিয়ার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা৷ বিজয় মালিয়ার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কোনও অনুমতি দেননি তিনি৷ এমনকী, তিনি তারা সাক্ষাৎ করেননি৷
নিজের ফেসবুকে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বিজয় মালিয়া তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, মালিয়ার সঙ্গে কোনও ধরনের কথা বলবেন না তিনি৷ তবে এই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি৷ কংগ্রেস থেকে শুরু করে বামেরাও একযোগে অর্থমন্ত্রী বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলতে থাকে৷ অরুণ জেটলির দাবি পাল্টা রাহুল গান্ধী টুইট করে জানান, লন্ডনে বিজয় মালিয়া গুরুত্বপূর্ণ দাবির ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি করা উচিত৷ তদন্ত চলাকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি পদত্যাগ করা উচিত বলেও দাবি তোলেন তিনি৷