তিয়াষা গুপ্ত: সামনেই সাধারণ নির্বাচন। এই কারণে এখনই নগরকেন্দ্রিক বাড়ি ভাড়া নীতি (আরবান রেন্টাল হাউজিং পলিসি) নিয়ে তড়িঘড়ি কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না সরকার। মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে ঘরোয়া বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আপাতত বিষয়টি নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক বলেন, খুব শিগগিরই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। একইসঙ্গে তিনি আরো বলেন, শহর কেন্দ্রিক সভ্যতায় বাড়ি ভাড়া দেওয়ার রেওয়াজ নতুন নয়। কিন্তু বাড়িওয়ালা ও আবাসিকের মধ্যে মধুর সম্পর্ক বিরল বলেই মনে করেন তিনি। এই কারণে এই নিয়ে ভেবে চিন্তে পদক্ষেপ করতে হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গেও কথা হয়েছে। তারাও কোনো উৎসাহ দেখায়নি বিষয়টি নিয়ে। এই কারণে এই নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো মিমাংসা হয়নি। দেশের একেক প্রান্তে বাজার দর অনুযায়ী বাড়ি ভাড়া একেক রকম। অর্থাৎ দিল্লিতে বাড়ির যা ভাড়া কলকাতায় তার আকাশ পাতাল তফাৎ।
২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই নিয়ে কাজ শুরু করেন। ২০১৫ সালে প্রথম খসড়া প্রকাশ্যে আনা হয়। নগরায়ণের দ্রুত বৃদ্ধির ফলে বাড়ি ভাড়া নীতি উৎসাহিত করা হয়। সরকার ও বেসরকারি অংশীদারিত্বে কী নীতি নেওয়া যায়, তানিয়েও আলোচনা হয়েছে।
১২ তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নগরজীবনে বাড়ির ঘাটতির আনুমানিক হিসেব প্রায় ১৮.৭৮ মিলিয়ন। স্থানীয় বেশ কিছু আইন ভাড়াটেদের সুবিধার্থে রয়েছে। এতে প্রায়ই বেকায়দায় পড়েন বাড়ির মালিকরাও। দিল্লি রেন্ট কন্ট্রোল অ্যাক্ট, ১৯৫৮ অর্থাৎ, দিল্লি বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮ এর ১৪ (১) ই ধারা অনুযায়ী ভাড়াটের ওপর বেশ কিছু শর্ত চাপানো হয়েছে। যাতে বিভিন্ন সময় ভারাটেরা বাড়ির দখল করে নিতে না পারেন, তাই এই শর্ত।