নয়াদিল্লি: গোটা দেশে সুদিনের স্বপ্ন বিলিয়ে দিল্লির সিংহাসন দখল করেছে গেরুয়া শিবির৷ ক্ষমকা দখলের পর দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন৷ ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেটে এবার বড়ধড় ধাক্কা খেতে চলেছে আমজনতা৷ এবারের বাজেটে একাধিক ক্ষেত্রেই মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। করোনা পরবর্তী সময়ে আর্থিক বিপর্যয়ের মোকাবিলার জন্যেই বাজেটের দিকে তাকিয়ে ছিলেন দেশবাসী। কিন্তু মধ্যবিত্তের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে বাজেট।
এদিন সংসদীয় বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন রান্নার তথা ভোজ্যতেলের উপর চাপানো হতে চলেছে অতিরিক্ত শুল্ক। এছাড়া অপরিশোধিত পাম তেলের আমদানি শুল্ক এবং সয়াবিন ও সান ফ্লাওয়ার তেলের রপ্তানি শুল্ক হ্রাস করার কথাও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। সেস (cess) বা অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে যে বাড়তে চলেছে ভোজ্যতেলের দাম, তা বলাই বাহুল্য।
সংসদীয় বাজেটে বলা হয়েছে, অপরিশোধিত পাম তেলের (CPO) উপর নির্ধারিত শুল্ক ২৭.৫% থেকে কমিয়ে ১৫ % করা হবে। এছাড়া সয়াবিন এবং সান ফ্লাওয়ার তেলের জন্য নির্ধারিত রপ্তানি শুল্কও ৩৫% থেকে কমিয়ে ১৫% করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন। তিনি বলেছেন, “সিপিও-র উপর ১৭.৫% এবং অপরিশোধিত সয়াবিন ও সান ফ্লাওয়ার তেলের উপর ২০% সেস ধার্য করার প্রস্তাব করেছে।”
করোনা পরবর্তী কালে নির্মলা সিতারামন নির্ধারিত এই বাজেটের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। অতিমারী আবহে দেশের নুইয়ে পড়া অর্থনীতিতে ফের চাঙ্গা করার চ্যালেঞ্জ ছিল কেন্দ্রের মোদী সরকারের উপর। তাই এবারের বাজেটকে কেন্দ্র করে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে ধনী শিল্পপতি,সকলেরই প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে।
বাজেটে পেট্রোল ডিজেলের মতো জ্বালানি তেল গুলির দামও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কমেছে সোনা রুপো তামার দাম। আজ পয়লা ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় চলতি অর্থবছরের সংসদীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। নতুন দশকের এই প্রথম বাজেটকে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ার অন্যতম পদক্ষেপ বলেছেন নির্মলা সিতারামন।