নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতির জেরে বিশ্ব অর্থনীতির বেহাল দশা। আরও জটিল পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে সোনার দামও হু-হু করে বাড়ছে। এমনিতেই গত দেড় বছরে প্রায় ৭৫ শতাংশ দাম বেড়েছে সোনার। তবে বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে ২০২১ সালের শেষে তা আরও ৭৬ শতাংশ বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা সিকিউরিটিজও অনুমান করছে, আগামী দেড় বছরে বিশ্ব বাজারে সোনার দাম আউন্স পিছু ২.৩ লক্ষের কাছাকাছি হতে পারে। যার অর্থ হল, প্রতি ১০ গ্রামে সোনার দাম ছাড়াতে পারে ৮০ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুসারে, মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে আগামী জুন মাসে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে হতে পারে ৪৬ হাজারেরও বেশি। এদিকে বাজারে সোনার চাহিদা যে রেকর্ডহারে কমেছে, সেই কথা জানিয়েছে ব্যবসায়িক সংগঠনগুলিও। তাছাড়া কোভিড ১৯ ভাইরাসের জেরে পরিস্তিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। শেয়ার বাজারও মুখ থুবড়ে পড়েছে। ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা সিকিউরিটিজ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ও সরকারের তরফে ব্যালেন্স শিট ও অর্থবছরের ঘাটতি প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। এই অবস্থায় আগামী দেড় বছরের মধ্যে সোনার দাম তারাও আউন্স প্রতি ১.৫২ লক্ষ টাকা থেকে ২.২৯ লক্ষ টাকা ধার্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে প্রায় ৭৬ শতাংশ বাড়তে পারে সোনার দাম। প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম হতে পারে প্রায় ৮২ হাজার টাকা।
প্রতি বছর কয়েকশো টন সোনা আমদানি করে ভারত। সংবাদ সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, যেখানে এক বছর আগেও একমাসে ৯৩.২৪ টন আমদানি করেছে এই দেশ, সেখানে গত মার্চ মাসে সোনা আমদানি হয়েছে মাত্র ২৫ টন। সোনা আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি এবং বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতির জেরে আমদানির হার তলানিতে পৌঁছেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে আমদানি শুল্ক ২.৫% বৃদ্ধি করেছে সরকার। সোনার চাহিদা কমায় গয়না শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন অল ইন্ডিয়া জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান শঙ্কর সেন। এবার ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা সিকিউরিটিজের বক্তব্য অনুসারে সোনার দাম বৃদ্ধির খবরে কপালে ভাঁজ আমজনতার।