নয়াদিল্লি: করোনা ধাক্কা সামলে ক্রমশ ছন্দে ফিরছে বিশ্ব অর্থনীতি। করোনা সংক্রমণের নতুন ধাক্কা এলেও বেশিরভাগ অর্থনৈতিক ক্ষেত্র চাঙ্গা হচ্ছে। গ্লোবাল ইকোনমিক, মর্গ্যান স্ট্যানলির প্রধান অর্থনীতিবিদ চেতন আহিয়া অন্তত এমনটাই মনে করছেন৷ চেতনের মতে, আমেরিকার বেশিরভাগ অর্থনৈতিক ক্ষেত্র জুলাইয়ের তুলনায় আগষ্টের প্রথম দু'সপ্তাহে মোটামুটি চাঙ্গা হওয়ার পথে। রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা এ সপ্তাহে ঘুরে দাঁড়িয়ে লাভের মুখে। চাকরি হারানোর সংখ্যাও এই নিয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহে কমতির দিকে। সরকারি কোষাগার অবশ্য এ ক্ষেত্রে অনেকটাই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে এটাও সত্যি, এ ধরনের যোগান চলতে না থাকলে অর্থনীতিতে ভাঁটা আবারও ফিরে আসতে পারে।
তুলনায়, চায়নার অর্থনৈতিক বিস্তৃতি অনেকটাই ঘটেছে। স্টিল বা সিমেন্টের মতো জিনিসের চাহিদা বাড়ছে। উন্নতি হয়েছে কনজিউমার ব্যবসাতেও। গাড়ি ব্যবসা জুলাইয়ের ৮% ছাড়িয়ে ঊর্ধ্বমুখী। এয়ারলাইনস ও হোটেলেও যাত্রী বা খদ্দের আনাগোনা ৯০% এর মুখে। জার্মানি স্বাভাবিক অবস্থার দোরগোড়ায়। তবে স্পেন অর্থনীতিতে এখনও ঘাটতি। বরং ইংল্যান্ড রীতিমতো ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রিটেল ব্যবসা, হোটেল বা বিদ্যুতের চাহিদায় বেশ জোয়ার এসেছে।
সদ্য তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় অর্থনীতিতে এখনও সে ভাবে পালে হাওয়া লাগেনি। বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট ছোট লক ডাউন জারি থাকায় অর্থনীতির সূচকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পড়েছে। তবে আশার কথা, জুনের থেকে জুলাইয়ের অবস্থা ভালর দিকে। এপ্রিল থেকে ধরলে ধীরে ধীরে বাড়ছে বিদ্যুৎ চাহিদাও। ২৪% চাহিদা যেখানে কমে গিয়েছিল, সেটাই এখন ৬.৩ – ৭ % এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তবে কাজ হারানোর হার এখনও উদ্বেগজনক।
ব্রেজিলে বিদ্যুত চাহিদা এ মাসে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে বৃদ্ধির পথে। রিটেল কেনাকাটার বৃদ্ধি ছুঁয়েছে ১০০%। রাশিয়ার বৃদ্ধির হার এগোলেও কনজিউমার কেনাকাটা এখনও সন্তোষজনক নয়। তবে চেতন আহিয়া আশ্বাস দিয়েছেন, “বিশ্বঅর্থনীতির বেশিরভাগ অংশই ঘুরে দাঁড়ানোর পথে।” আশা করাই যায়, অবস্থার অবনতি নয়, আরও উন্নতিই হবে।