নয়াদিল্লি: ভোটের মুখে বড় ঘোষণা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের৷ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আর্থিক নীতি সংক্রান্ত কমিটি বৈঠক শেষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার প্রকাশ করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস৷ এদিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এদিন জানিয়েছে, ২০১৯-২০ সালের আর্থিক বছরে জিডিপি বা মোট জাতীয় উৎপাদন বাড়বে ৭.২ শতাংশ। চলতি আর্থিক বছরের প্রথমার্ধে জিডিপি বাড়বে ৬.৮ থেকে ৭.১ শতাংশ হারে। দ্বিতীয়ার্ধে বাড়বে ৭.৩ থেকে ৭.৪ শতাংশ হারে।
গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে জিডিপি বৃদ্ধির হার কমে হয়েছিল ৬.৬ শতাংশ। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকের পর জিডিপি বৃদ্ধির হার আর কখনও এত কমেনি। গত ফেব্রুয়ারিতে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ২.৫৭ শতাংশ হারে। জানুয়ারিতে মুল্যবৃদ্ধির হার ছিল ১.৯৭ শতাংশ। তা ছিল আগের নম মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
GDP projection for 2019-20 is kept at 7.2% , earlier projection was of 7.4%. pic.twitter.com/f2genxTP7n
— ANI (@ANI) April 4, 2019
অন্যদিকে, এশিয়ান ডেভালপমেন্ট আউটলুকের প্রকাশিত সম্প্রতি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে সার্বিক বৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ৭.২ শতাংশে হতে পারে বলে পূর্বভাস দেওয়া হয়৷ বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের বৃদ্ধি এবং অস্বভাবিকভাবে টাকার পতন হওয়ায় ব্যয় সংকোচের পথে হাঁটতে হয় কেন্দ্রকে। যার পরই চাঙ্গা হতে থাকে দেশের অর্থনীতি। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের ৭.২ জিডিপি পরের বছরে নেমে দাঁড়ায় ৭-এ। অপর্যাপ্ত কৃষি উত্পাদন এবং সরকারের ব্যয় ক্রমশ বৃদ্ধিকেই দায়ী করেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, বাজারে নগদ জোগান কম থাকায় ঋণ ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যার ফলে ভারী শিল্পে এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নে ধাক্কা খেতে হয় মোদি সরকারকে। এশিয়ান ডেভালপমেন্ট ব্যাঙ্কের দাবি, আগামী দু’বছর ৭.২ থেকে ৭.৩ শতাংশের মধ্যে ঘোরাঘুরি করবে জিডিপি৷
RBI Governor Shaktikanta Das: GDP projection for 2019-20 is kept at 7.2%, 6.8 to 7.1% for the first half of 2019-20 & 7.3 to 7.4% for the second half. pic.twitter.com/rBXeDo43rz
— ANI (@ANI) April 4, 2019
গত মাসে পরিসংখ্যান দফতর ভারতের জিডিপির পূর্বাভাস ৭.২ শতাংশ কমিয়ে ৭-এ নামিয়ে আনে। মার্কিন সংস্থা ফিচ রেটিং আবার পূর্বাভাস দেয় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে জিডিপি দাঁড়াবে ৬.৯ শতাংশে। তারাই গত সেপ্টেম্বরে ৭.৮ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল। পরে তা কমিয়ে ৭.২ শতাংশ রেটিং দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, সুদের হার কমাল RBI৷ রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফে৷ রেপ রেট কমায় গৃহ ও গাড়ি ঋণে মিলতে পারে স্বস্তি৷ বিপাকে পড়তে পারেন প্রবীণ নাগরিকরা৷ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রেপো রেট কমানোর কথা জানান রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। এদিন তিনি জানান, ০. ২৫ শতাংশ কমে রেপো রেট করা হল ৬. ২৫ শতাংশ। এই হারে অন্য ব্যাংকে টাকা ধার দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষের মধ্যে এটা ছিল আরবিআইয়ের দ্বিতীয় সুদ নীতি। নতুন গর্ভনর শক্তিকান্ত দাসের আমলে এটাই প্রথম ঋণ নীতি।