নয়াদিল্লি: মাস দেড়েক আগে চলতি অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন সংসদীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন। মোদী সরকারের আমলে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের যা হিড়িক শুরু হয়েছে, বাজেটে তাকেই আরো জোরদার করেছেন অর্থমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, খুব শিগগিরই শুরু হবে ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া। সেই নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। তবে এবার বেসরকারিকরণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বললেন, সুরক্ষিত থাকবে কর্মীদের স্বার্থ, সব ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ হবে না। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
বাজেটে উল্লিখিত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ১৫ ও ১৬ মার্চ ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ কর্মচারী। এই ধর্মঘটের ফলে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলা, জমা দেওয়া চেক ক্লিয়ার বা লোন গ্রহণ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ বাঁধাপ্রাপ্ত হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে আজ সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন জানান, ব্যাঙ্ক কর্মীদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয় এমন কোনও পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকার করবে না। বেতন, পেনশনের মতো বিষয়গুলি সুরক্ষিত থাকবে নিশ্চিত ভাবে। তাঁর স্পষ্ট কথা, নির্দিষ্ট নীতির ভিত্তিতে সব দিক পর্যালোচনা করেই বেসরকারিকরণ সংক্রান্ত পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র, যাতে পরবর্তী ক্ষেত্রে কোনও রকম সমস্যা না হয়। উল্লেখ্য, এই সংক্রান্ত বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন’ বা ইউএফবিইউ, ব্যাঙ্ক ধর্মঘট পালন করেছে।
আরও পড়ুন- ‘বিজেপিকে ১০ গোলে হারাতে না পারলে রাজনীতির আঙিনায় পা দেব না’: অভিষেক
এ প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি সি এইচ ভেঙ্কটচালাম আগেই জানিয়েছিলেন, “ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ মানুষের সঞ্চয়কে ঝুঁকির মুখোমুখি দাঁড় করাবে। প্রাইভেট ব্যাঙ্কে সার্ভিস চার্জ অনেক বেশি। সেখান থেকে সহজে লোনও পাওয়া যাবে না।” ধর্মঘটে সামিল হয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্কও।
