আরও ২ বছর মিলতে পারে EMI ছাড়, বুধে সুপ্রিম রায়

আরও ২ বছর মিলতে পারে EMI ছাড়, বুধে সুপ্রিম রায়

নয়াদিল্লি:  সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবারই জানিয়েছে, ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্য দু’বছর সময় বাড়ানো যেতে পারে। উল্লিখিত অর্ডার কিছুটা হলেও স্বস্তি আনল ঋণগ্রহীতাদের। এর আগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও অন্য ব্যাঙ্ক ও করপোরেট ঋণদাতাদের সময় দিয়েছিল ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত। সরকারের তরফে সলিসিটর জেনেরাল তুষার মেহতা ঋণ ফেরানোর স্থগিতাদেশ সম্পর্কে জানিয়েছেন, ‘‘২৩% জিডিপি পড়ে গিয়েছে। অর্থনীতির হাল খারাপ। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য ব্যাঙ্কারদের তরফে আলোচনা তাও জারি ছিল। তবে আরবিআই অফিসারদের সঙ্গে আমরা ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করেছি।’’

উচ্চ আদালতের বিচারক জাস্টিস এমআর শাহ জানিয়েছেন,  “সুদের ব্যাপারটাও আমরা শুনব এবং বিচার করার চেষ্টা করব। বুধবার মামলাটি ফের শুনানি হবে৷’’ গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্ট সুদ মকুবের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছিল৷ আরবিআইয়ের মতে, টার্ম হিসাবে নেওয়া সুদের উপর ছাড় অর্থনীতি ও ব্যাঙ্কের স্থায়ীত্বের উপর বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে৷ অতিমারীর এই সময়ে ঋণের সময় ছাড়ের পক্ষে সওয়াল করে গজেন্দ্র শর্মা ও আইনবিদ বিশাল তিওয়ারি বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন। শুনানি চলছিল কেসটির৷ তবে উচ্চ আদালত ঋণ মকুবের উপর অনুরোধ বা কেসের আবেদন ও শুনানি এ বছরের শেষ পর্যন্ত চলবে৷

বিশাল তিওয়ারি তিন বিচারপতির বেঞ্চে আবেদন করে বলেছেন, অতিমারীতে অর্থনীতি যথেষ্ট বেহাল এখনও। ফলে ঋণ ছাড় অন্তত এ বছরের শেষ পর্যন্ত দেওয়া দরকার। বেঞ্চের মূল বিচারপতির দায়িত্বে আছেন অশোক ভূষণ। আজ বিচারপতির তরফে শুনানি নতুন করে হতে পারে। ১ তারিখের মধ্যেই সরকারের এ ব্যাপারে কী বক্তব্য তা পরিস্কার করতে বলেছিল কোর্ট৷ আরবিআইয়ের মার্চ ২৭ এর নোটিফিকেশনের ভিত্তিতে ঋণ মকুবের সময় পাওয়া যেতেই পারে। সংবিধানের ২১ ধারায় এটি 'রাইট টু লাইফ' বা জীবনের অধিকার বলা হয়েছে। অর্থনীতির প্রধান উপদেষ্টা অবশ্য এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সামনে আরও খারাপ দিন আসতে পারে। বলা বাহুল্য, কোর্টের  চূড়ান্ত মতামতের উপর অর্থনীতির অনেক কিছুই নির্ভর করছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *