ব্যাঙ্কে গেলেই মিলবে টাকা! এমার্জেন্সি লোনের কী? এর সুবিধা-অসুবিধা জেনে নিন

ব্যাঙ্কে গেলেই মিলবে টাকা! এমার্জেন্সি লোনের কী? এর সুবিধা-অসুবিধা জেনে নিন

কলকাতা: হঠাৎ করে টাকার প্রয়োজন হলে কী করবেন? অধিকাংশ মানুষই হয়তো আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হবেন। কারণ, প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ হলে ব্যাঙ্ক আপনাকে ঋণ দেবে৷ তবে লোনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। যেমন- পার্সোনাল লোন বা ব্যক্তিগত ঋণ, এডুকেশনাল লোন, হোম লোন ও গাড়ির ঋণ। এর পাশাপাশি গ্রাহকদের এমার্জেন্সি ঋণও দিয়ে থাকে ব্যাঙ্ক।

এখন প্রশ্ন হল, এমার্জেন্সি লোন আসলে কী? কিভাবেই বা পাওয়া যায়? এমার্জেন্সি লোন প্রকৃতপক্ষে একটি ব্যক্তিগত ঋণ। যা খুব দ্রুত পওয়া সম্ভব। সাধারণত দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে এমার্জেন্সি লোনের মঞ্জুর করে ব্যাঙ্ক৷ আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা ভেবেই এই ঋণ চালু করা হয়েছে।

এমার্জেন্সি লোনের সবচেয় বড় সুবিধা হল, এর জন্য কোনও রকম সিকিউরিটি ডিপোজিট প্রয়োজন পড়ে না৷  অনেক সময় আবেদনকারী দিনের দিনই লোনের টাকা হাতে পেয়ে যান। সাধারণত হাসপাতালে বিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বা পরীক্ষার ফি দেওয়ার ক্ষেত্রে এই লোন নিয়ে থাকেন গ্রাহকরা।

ক্রেডিট কার্ড অ্যাডভান্স

এমার্জেন্সি লোনেরও প্রকারভেদ রয়েছে। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও এই লোন নেওয়া যেতে পারে। এর জন্য গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট ব্য়াঙ্কের এটিএমে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা তুলতে হবে৷ কার্ডের ঊর্ধ্বসীমা অনুযায়ী টাকা তোলা যাবে। কার্ড অনুযায়ী টাকার পরিমাণের ক্ষেত্রেও তারতম্য ঘটবে৷ 

ক্রেডিট কার্ডে এমার্জেন্সি লোন নিলে সঙ্গে সঙ্গে হাতে টাকা পাওয়া যায়। এটা সবচেয়ে বড় সুবিধা৷ কিন্তু একই সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে, যে দিন গ্রাহক ক্রেডিট কার্ডে এমার্জেন্সি লোন নেবেন, সেই দিন থেকেই সুদ গুণতে হবে তাঁকে। 

এমার্জেন্সি লোনের দ্বিতীয় ক্যাটেগরিতে পড়ে হোম ইক্যুইটি লোন। এক্ষেত্রে কিস্তিতে টাকা শোধ করার সুযোগ পান গ্রাহকরা। দীর্ঘ ৩০ বছর সময় ধরে এই ঋণ মেটানোর সুযোগ দেয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তবে এই লোন পেতে হলে ব্যাঙ্কের কাছে বাড়ি মর্টগেজ রাখতে হয়৷ এতে ১০ বছরের মেয়াদে ঋণ নিলে তা পরিশোধের জন্য ২০ বছরর সময় পান গ্রাহকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *