৬ বছরের সর্বনিম্ন দেশের অর্থনীতি, মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়!

নয়াদিল্লি: আগামী ৫ বছরে ৫ ট্রিলিয়নের স্বপ্ন ক্রমশঃ দুঃস্বপ্নে পরিণত হচ্ছে দেশের জনগণের কাছে৷ এইতো দুদিন আগেও দেশের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে মন্দা বলতে নারাজ ছিলেন মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী৷ অথচ শুক্রবার বিকেলেই ফের জোর ধাক্কা খেল দেশের অর্থনীতি৷ চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি-তে বৃদ্ধির হার নেমে এলো ৪.৫ শতাংশে৷ বিগত ৬ বছরের তুলনায় যা সর্বনিম্ন৷ ২০১৩

3 stocks recomended

৬ বছরের সর্বনিম্ন দেশের অর্থনীতি, মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়!

নয়াদিল্লি: আগামী ৫ বছরে ৫ ট্রিলিয়নের স্বপ্ন ক্রমশঃ দুঃস্বপ্নে পরিণত হচ্ছে দেশের জনগণের কাছে৷ এইতো দুদিন আগেও দেশের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে মন্দা বলতে নারাজ ছিলেন মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী৷ অথচ শুক্রবার বিকেলেই ফের জোর ধাক্কা খেল দেশের অর্থনীতি৷ চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি-তে বৃদ্ধির হার নেমে এলো ৪.৫ শতাংশে৷ বিগত ৬ বছরের তুলনায় যা সর্বনিম্ন৷

২০১৩ সালের জানুয়ারি-মার্চের পর এই প্রথম ৫ শতাংশের নীচে নামল বৃদ্ধির হার৷ সেই সময় অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৩ শতাংশ৷ গত অর্থবর্ষেও ঠিক এই সময় অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশ৷ এবছর জুন পর্যন্ত প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ছিল ৫ শতাংশ৷ এবার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ০.৫ শতাংশ নেমে দাঁড়াল ৪.৫ শতাংশে৷ পরপর পাঁচটি ত্রৈমাসিকে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি কমেছে যা দেশের পক্ষে অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ বলে মনে করছে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল৷ এদিকে প্রথম দুই ত্রৈমাসিকেই সরকারি কোষাগারে রাজস্ব ঘাটতি ৭.২ লক্ষ কোটি টাকা৷ যা ইতিমধ্যে সরকারের পূর্ণ আর্থিক বর্ষের বাজেটের হিসাব ছাড়িয়ে গেছে৷

অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কোনো দাওয়াই কাজে আসছেনা সীতারমনের৷ অবস্থা সামাল দিতে রেপো রেট কমিয়েই চলেছে আরবিআই ৷ এবছর পরপর পাঁচ বার রেপো রেট কমিয়ে সব মিলিয়ে ১৩৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে তারা৷ ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমে ৪.৯০তে দাঁড়াবে বলেই বহু অর্থনীতিবিদ মনে করছেন ডিসেম্বরে সুদের হার আরও কমাতে পারে আরবিআই৷ কমিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক হয়ে উঠতে পারে আরবিআই৷

ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক অফিসের রিপোর্ট অনুসারে আর্থিক সংস্থানের চাবিকাঠি এমন প্রতিটি ক্ষেত্রেই কমেছে গ্রস অ্যাডেড ভ্যালু (জিভিএ)৷ উৎপাদন খাতে এই বৃদ্ধির হার চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গত অর্থবর্ষে প্রবৃদ্ধির ৬.৯শতাংশ তুলনায় ১শতাংশ কম৷ কৃষি-খামার ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ৪.৯শতাংশ থেকে ২.১শতাংশ কমেছে৷ নির্মাণ ক্ষেত্রে আগের ৮.৫শতাংশ থেকে কমে ২.১ শতাংশ৷

বিদ্যুত, গ্যাস, জলপ্রবাহ ও অন্যান্য ব্যবহারিক খাতে প্রবৃদ্ধির হার ৮.৭থেকে কমে ৩.৬ শতাংশ৷ ব্রডকাস্টিং খাতেও ঘাটতির হার উল্লেখযোগ্য৷ প্রবৃদ্ধির হার ৬.৯শতাংশের তুলায় শেষ ত্রৈমাসিকে কমে ৪.৮শতাংশ৷ আর্থিক, রিয়েল এস্টেট এবং পেশাদারী পরিষেবাগুলির খাতে প্রবৃদ্ধি গত ছরের ৭ শতাংশ থেকে ধীরে ধীরে ৫.৮ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে৷

বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, কর্মী ছাঁটাইয়ের জেরে এমনিতেই মানুষ খরচের বিষয়ে সাবধানী হয়ে উঠছে৷ যেটা গ্রাম্য অর্থনীতিতে বেশী চোখে পড়ছে৷ পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নগদের অভাব সেই সমস্যা আরও বাড়িয়েছে৷ খুচরো ঋণ কমে যাওয়ায় ফলে পণ্যের বাজারেও মন্দা৷ আর চাহিদার অভাবে সংস্থাগুলিও কমিয়েছে উৎপাদন এবং বিনিয়োগ৷

প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাবধান বাণীতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে এত সমস্যার মূলে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা৷ সেই আস্থা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে৷ তাহলেই সার্থক হবে ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়৷’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − five =