তলানিতে অর্থনীতি, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা বামেদের

নয়াদিল্লি: দেশের ত্রৈমাসিক বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী৷ মোদী সরকারের কঠোর সমালোচনার মুখে বামপন্থীরা৷ টানা ৬টি ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধি পর্যায়ক্রমে কমছে৷ পরিসংখ্যান বলছে, গত ৬ বছরে ত্রৈমাসিক বৃদ্ধির হার সব থেকে কম৷ স্বাভাবিক ভাবেই বামপন্থীদের প্রশ্ন, পাকিস্তান-বালাকোট, ৩৭০ এবং রামমন্দির দেখিয়ে মানুষকে কতদিন ভুলিয়ে রাখা যাবে? গরিব মানুষের পেটের খবর রাখছে না মোদী সরকার৷ অর্থনৈতিক ভাবে ঝুঁকে

3 stocks recomended

তলানিতে অর্থনীতি, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা বামেদের

নয়াদিল্লি: দেশের ত্রৈমাসিক বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী৷ মোদী সরকারের কঠোর সমালোচনার মুখে বামপন্থীরা৷ টানা ৬টি ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক বৃদ্ধি পর্যায়ক্রমে কমছে৷ পরিসংখ্যান বলছে, গত ৬ বছরে ত্রৈমাসিক বৃদ্ধির হার সব থেকে কম৷ স্বাভাবিক ভাবেই বামপন্থীদের প্রশ্ন, পাকিস্তান-বালাকোট, ৩৭০ এবং রামমন্দির দেখিয়ে মানুষকে কতদিন ভুলিয়ে রাখা যাবে? গরিব মানুষের পেটের খবর রাখছে না মোদী সরকার৷ অর্থনৈতিক ভাবে ঝুঁকে পড়েছে ভারত৷ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন দেশের অর্থনীতিকে পতনের দিকে নিয়ে চলেছেন৷

বামপন্থীরা মোদী সরকারের আমলে অর্থনীতির এই বেহাল দশাকে সব থেকে খারাপ বলছেন৷ আর কোনও প্রধান মন্ত্রীর আমলে দেশের অর্থনীতির এই করুন অবস্থা হয়নি, দাবি করেছেন তাঁরা৷ অন্যদিকে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা বলেছেন দেশে মন্দা নেই৷ শিল্পক্ষেত্রে সমস্যা থাকতে পারে৷ সেটা আলাদা ব্যাপার৷

তবে সারা দেশে সকলেই যে একসুরে কথা বলছেন এমন নয়৷ অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, বৃদ্ধি কম নিয়ে অযথা হইচই করে লাভ নেই৷ হওয়ারই ছিল৷ তবে তা সাময়িক৷ নোটবাতিল এবং জিএসটি’র প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে বিন্দুমাত্র পড়েনি, তা অনেক দিন আগে থেকেই মোদী সরকার বলে আসছে৷ কিন্তু, বামপন্থীরা তা শুনতে নারাজ৷ ওই দুই পদক্ষেপের পরেই যে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে তা বামপন্থীরা অনেক আগে থেকেই বলছে৷ তাঁদের যুক্তি, আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থাগুলি বারবার বলছে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে৷

চলতি অর্থবর্ষে (২০১৯-২০) দেশের ত্রৈমাসিক বৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশ৷ এক্ষেত্রে বলা যায়, জিডিপি-ই একমাত্র দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিচায়ক নয়৷ কিন্তু, দেখা যাচ্ছে গত ৪৫ বছরে দেশের কর্মসংস্থানের হার তলানিতে৷ শিল্প নেই৷ মোদী সরকার সহজ এবং কম সুদে ঋণ দিতে চায়৷ কিন্তু, ঋণ নেবে কে?

ইতিমধ্যেই বামপন্থীরা অর্থনৈতিক অধঃপতনের আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থাগুলোকে বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে লং-মার্চও শুরু হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *