নয়াদিল্লি: বেড়েছে নগদের যোগান। ছাপিয়ে গেছে নোট বাতিলের আগের পরিস্থিতিও। অশনি সংকেত দেখছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে এই তথ্য। প্রতিবেদন অনুযায়ী, নোট বাতিলের আগে বাজারে নগদের পরিমাণ ছিল ১৭.৯৭ লক্ষ কোটি টাকা। আর, ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারির হিসেব বলছে, বাজারের নগদের পরিমাণ ২০.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা। অথচ, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ক্যাশলেস ইকনোমির দিকে জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
নগদের ব্যবাহর কমাতে ই-পেমেন্ট বা অনলাইন পেমেন্টে জোর দেওয়া হয়। সরকারের যুক্তি ছিল এর ফলে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া মুশকিল হবে। তাহলে হাঠাৎ কী পরিস্থিতির কারণে বাড়ছে নগদের জোগান? স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন। ‘এইচএসবিসি, ইন্ডিয়া’র চিফ ইকনোমিস্ট প্রাঞ্জুল ভাণ্ডারির দাবি, এটা ভালো লক্ষণ। নগদ বাড়ছে মানে ছোট ও মাঝারি শিল্প ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। যদিও তাঁর সঙ্গে সহমত নন অর্থনীতিবিদদের একটি বড় অংশ। এই বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্ণর রঘুরাম রাজনের মন্তব্য ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। অনেকের মতো তিনও আগেই এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনের আগেই বাজারে নগদের যোগান বেড়ে যায়। কারণটা আপানারাও জানেন। আমরাও জানি।’ এসবিআই গ্রুপের চিফ ইকনোমিস্ট সৌম্য কান্তি ঘোষ বলেন, এভাবে টাকার যোগান বেড়ে যাওয়া মোটেও শুভ লক্ষণ নয়। এর মানে হল, টাকা তার নিজস্ব গতি হারাচ্ছে। অল্পকিছু ট্রানজেকশনের পরেই দাঁড়িয়ে পড়ছে। কোথাম জমে যাচ্ছে। ফলে যোগান স্বাভাবিক রাখতে ফের নগদের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে।