কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিষেবা দেবে অ্যামাজন-ফ্লিপকার্ট? জানিয়ে দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরিষেবা দেবে অ্যামাজন-ফ্লিপকার্ট? জানিয়ে দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

imagesmissing

নয়াদিল্লি: আগামী ২০ এপ্রিল থেকেই চালু হবে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স সংস্থাগুলির পরিষেবা, এমনটাই জানানো হয়েছিল তাদের তরফে। তার ফলে ক্রেতারা মোবাইল, টিভি, ফ্রিজের মতো ইলেকট্রনিক গ্যাজেটও ক্রয় করতে পারবেন বলেই জানিয়েছিল সংস্থাগুলি। এবার সেই ঘোষণা স্থগিতাদেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে আগামী ২০ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বেচতে পারে তারা, এমনই নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

দেশ জুড়ে জারি রয়েছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রয়োজন তো রয়েইছে। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের ক্ষেত্রেও তৈরি হচ্ছে চাহিদা। বিশেষত ওয়ার্ক ফ্রম হোম সুবিধা নিচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের ক্ষেত্রে এই চাহিদা বেশি। অথচ সরকারি নির্দেশ অনুসারে কেবলমাত্র রোজের দরকারি সামগ্রীই বিক্রি করতে পারে সংস্থাগুলি। এদিকে লকডাউনের সময়সীমাও বাড়িয়ে ৩ মে করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, স্ন্যাপডিলের মতো ই-কমার্স সংস্থাগুলি জানিয়েছিল, ২০ এপ্রিল থেকে পরিষেবা দিতে প্রস্তুত তারা।

যাঁদের প্রকৃতই প্রয়োজন রয়েছে, তাঁরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতেই ছিলেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়া অন্য কোনও পণ্য বেচতে পারবে না ই-কমার্স সংস্থাগুলি। ১৯ এপ্রিলের নির্দেশিকায় সাফ জানানো হয়েছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় নয়, এমন পণ্য সরবরাহ করতে পারবে না ই-কমার্স সংস্থাগুলি। করোনা পরিস্থিতি যেভাবে জটিল হচ্ছে, তাতে নতুন করে ঝুঁকি নিতে নারাজ সরকার। সেই কারণেই জারি হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা।

এদিকে ১৫ এপ্রিল ই-কমার্স সংস্থাগুলি ঘোষণা করেছিল, লকডাউনের মধ্যেই তারা পরিষেবা চালু করতে চলেছে। তাদের তরফে এক আধিকারি বলেছিলেন, ‘পরিষেবা যাতে চালু করা যায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি আমরা।' কেন্দ্র এবং ফিকি-ন্যাসকমের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। লকডাউন চালু হওয়ার সময় পরিষেবা সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করা হয়নি কেন্দ্রের তরফে, এমনও জানিয়েছিলেন ওই আধিকারিক। যদিও বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে সংস্থাগুলি বন্ধ রেখেছিল তাদের পরিষেবা। এবার সেই সব বিষয় খতিয়ে দেখেই ফের চালু করার কথা ভেবেছিল ই-কমার্স সংস্থাগুলি। আর তাতেই পড়েছে নিষেধাজ্ঞা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *