নয়াদিল্লি: ভারতের সাধারণ বাজেট সংসদে পেশ হওয়ার আগে কেউ জানতে পারে না। সাংবাদিকদের কানে যাতে এক বিন্দু তথ্য না পৌঁছায়, সেই কারণে বাড়তি নিরাপত্তা অবলম্বন করা হয়। অর্থমন্ত্রীর বাজেট ভাষণের আগে পরবর্তী অর্থবর্ষে দেশের পরিকল্পনা কী তা কেউ জানতে পারেন না।
এই জবরদস্ত গোপনীয়তার পিছনে একটি ইতিহাস লুকিয়ে আছে। আমাদের দেশের বাজেটের সঙ্গে বিভিন্নভাবে ব্রিটিশ বাজেটের মিল রয়েছে। ব্রিটেনে দুপুর সাড়ে পাঁচটায় বাজেট পেশ করা হত। কিন্তু, ভারতে ওই সময়টা বিকেল গড়িয়ে প্রায় সন্ধের দিকে। ১৯৪৭ সালে বাজেট নিয়েই ব্রিটেনে একটি বড় কেলেঙ্কারি ধরা পড়ে। ব্রিটিশ অর্থকোষের চ্যান্সেলর হিউ ডাল্টন ১৯৪৭ সালে নিজের বাজেট বক্তব্যের আগেই এক সাংবাদিককে বাজেটের মূল অংশ বলে দেন। ওই সাংবাদিক কালক্ষেপ না করে দুপুরের কাগজে সেই খবর ছাপিয়ে দেন। ব্যাস! বিপুল সমালোচনার পর ডাল্টনকে পদত্যাগ করতে হয়।
দেশে বসে সেই ঘটনার খবর পান ভারতের প্রথম অর্থমন্ত্রী স্যার আর কে সম্মুগম চেত্তি। তিনি কঠোর গোপনীয়তার দিকে জোর দেন। ওই ঘটনার পর থেকেই বাজের পেশ না হওয়া পর্যন্ত, তা কেউ জানতে পারে না।
তবে, অনেকেই হয়ত জানেন না, ভারতের প্রথম অর্থমন্ত্রী কংগ্রেসি ছিলেন না। স্বাধীনতার সঠিক অনুভূতি ছড়িয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু অ-কংগ্রেসিদেরও নিজের ক্যাবিনেটে সুযোগ দিয়েছিলেন। যেমন বি আর আম্বেদকর। প্রথম অর্থমন্ত্রী স্যার আর কে সম্মুগম চেত্তি স্বাধীনতার আগের এক শিল্পপতি এবং কোচিনের ডিওয়ান ছিলেন। তিনি ব্রিটিশদের খুব ঘনিষ্ট ছিলেন। ব্রিটিশ সংস্কৃতিতেও অভ্যস্ত ছিলেন।