করোনায় লক্ষ্মীলাভ! এক মাসে ১৪৫১৯৬১০০০০০ টাকা আয় চিনা সংস্থার

করোনায় লক্ষ্মীলাভ! এক মাসে ১৪৫১৯৬১০০০০০ টাকা আয় চিনা সংস্থার

imagesmissing

বেজিং:  গত ডিসেম্বর থেকেই চিনে মাথাচারা দিয়েছিল কোভিড করোনা৷ জানুয়ারি মাসে ঝড়ের গতিতে সে দেশে ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ৷ পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে মাস্কের চাহিদা৷ খানিটা নোট ছাপার মতোই সে দেশে তৈরি হতে থাকে সার্জিক্যাল মাস্ক৷

চিন থেকে এই মারণ রোগ ইউরোপ, আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়তেই সারা বিশ্বজুড়ে তৈরি হয় একটা সংকট৷ হু হু করে বাড়তে থাকে সার্জিক্যাল মাস্কের কদর৷ স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে আমআদমি, প্রত্যেকের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে প্রতিটি দেশের সরকার৷ করোনার হাত থেকে বাঁচতে পলিমার যুক্ত বিশেষ কাপড়ের চাহিদা আচমকাই বহুগুণ বেড়ে যায়৷ এই সুযোগে বাজার ধরতে উঠেপড়ে লাগে ইউ’র সংস্থা ‘ডন পলিমার’৷

হেগটাই সিকিউরিটিজের বিশেষজ্ঞ জু ঝানঝং বলেন, ‘‘বিশ্বজুড়ে মহামারি প্রতিরোধের অন্যতম চাবিকাঠি হয়ে ওঠেছে মাস্ক তৈরির জন্য দ্রবীভূত বিশেষ উপকরণের প্রতিযোগিতা৷’’  তিনি আরও বলেন, ‘‘ প্রযুক্তিগত সীমাবন্ধতা এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ার কারণেই মাস্ক তৈরির জন্য দ্রবীভূত এই বিশেষ উপকরণের মূল্য আচমকাই বৃদ্ধি পেয়েছে৷’’ চিনে করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতা বৃদ্ধি পেতেই এই বিশেষ কাপড়ের বাজার দর আনুমানিক ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে৷ সেই সঙ্গে উঠতে থাকে শেঞ্জেন তালিকাভুক্ত ডন পলিমারের শেয়ারের দর৷ ২০ জানুয়ারির পর থেকে গত ছয় সপ্তাহে এই সংস্থার শেয়ার ৪১৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে৷

মার্চের মধ্যেই ইউ এবং তাঁর স্ত্রী হ্যান লিমির সংস্থাগুলির আর্থিক বৃদ্ধি ঘটেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে৷ এই সংস্থার লাভ হয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার৷ ভারতীয় মূল্য  ১৪৫১৯৬১০০০০০ টাকা৷ করোনার ধাক্কায় ক্রমেই নিম্নমুখী বিশ্ব অর্থনীতির সূচক৷ পড়তে শুরু করেছে শেয়ার দর৷ বিশ্ব অর্থনীতি যখন ধুঁকছে, তখন বিপুল লাভবান এই দম্পতির সংস্থা৷

১৯৯০ সাল থেকে প্লাস্টিকের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ইউ৷ মধ্য চিনের শানডংয়ের ছোট্ট শহর লংকুর রবার এবং প্লাস্টিক গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন তিনি৷ ২০০২ সালে ‘ডন পলিমার’ প্রতিষ্ঠা করেন ইউ৷ ২০০৩ সালে চিনে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে৷ সেই সময়ই মেল্ট-ব্লোন ফেব্রিক উৎপাদন শুরু করেছিল তাঁর সংস্থা৷  ১৭ বছর পর আরও এক সংকটে পড়ে চিন৷ থাবা বসায় মারণ করোনা৷ সমস্যা মোকাবিলার অন্যতম অস্ত্র হয়ে ওঠে মাস্ক৷ যা তৈরির জন্য আরও একবার চড়তে থাকে এই বিশেষ কাপড়ের চাহিদা৷ এখন করোনার ‘আর্শীবার্দে’ই উপচে ওঠেছে তাঁদের সিন্দুক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *